একুশে নির্বাচনের আগে এবার বেশ অস্বস্তিতে পরল শাসকদল শিবির। এবার মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়লেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmiratan Shukla)। তিনি সেই সঙ্গে ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তিনি হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিট জিতেছিলেন। এবার আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এর কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিজের মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার কথা জানিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে তার মন্ত্রিত্বপদ ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি হাওড়া দলের জেলা সভাপতির পদে ছিলেন। সেই সাথে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে। তবে মন্ত্রিত্ব ও দলের জেলা সভাপতির পদ ছাড়লেও এখনো বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাইছে লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি বিশ্রাম নিতে চান। তারপর তিনি তার নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে জানাবেন। এখন অব্দি লক্ষ্মীরতন শুক্লা অন্য কোন দল যাচ্ছে নাকি সেই নিয়ে কোনো স্পষ্ট কথা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে থাকতেই হাওড়ার রাজনীতিতে তৃণমূল শিবিরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে থাকতেই দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে হাওড়া জেলার চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী অরূপ রায় এর দ্বন্দ্ব ছিল। এর ফলে তাদের একসাথে মিলে কাজ করার মধ্যে অনেক সমস্যা হতো। অবশ্য এই অভিযোগ একপ্রকার অস্বীকার করেছেন অরূপ রায়। একুশে নির্বাচনের আগে একের পর এক দলনেতা এরকম ভাবে তৃণমূল থেকে সরে দাঁড়ানোয় চরম অস্বস্তিতে শিবির। এবার লক্ষ্মীরতন শুক্লা অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেয় নাকি, সেটাই দেখার।