কৌশিক পোল্ল্যে: এ এক অন্যরকম নববর্ষের সাক্ষী থাকল বাঙালি জাতি। না, শুধু বাঙালি বললে ভুল হবে। অসমসহ অন্যান্য প্রদেশেও এদিন নববর্ষ পালিত হয় অন্যরূপে এবং অন্য নামে। প্রতিবছরের মতো জাঁকজমক সহকারে এই দিনটি পালিত হয়, এমনই তো কথা ছিল, কিন্তু মারন ভাইরাস করোনা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে তার মৃত্যু বিভীষিকায়। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপি এ এক বিরাট বিপর্যয়।
তার মধ্যেই নিজের সাধ্যমতো চেষ্টায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে খোশ অবতাবে হাজির মিমি। ছোটরা তো লকডাউন সম্পর্কে অবগত নয়, তারা এতকিছু বোঝে না, তা বলে কি তাদের নববর্ষের দিনটিও মাটি হয়ে হয়ে যাবে! এই ভাবনাতেই এগিয়ে এলেন যাদবপুরের সাংসদ ও টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসোনারপুর এলাকার গোবিন্দপুরে আনন্দঘর ফাউন্ডেশনে থাকে কিছু এইচআইভি আক্রান্ত শিশু এবং সেই সঙ্গে কিছু স্পেশাল চাইল্ড, যারা শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে খানিকটা অসমর্থ। এদের নিজের ঘর নেই। এদের মুখে হাসি ফোটাতেই তাদের জন্য নতুন জামা ও স্পেশাল খানাপিনার আয়োজন করেছেন মিমি।
সমস্ত শিশুদের সঙ্গে তিনি নিজে ভিডিও কলে কথা বলেন, সেই সঙ্গে লকডাউন কি, এটা কেন হচ্ছে সেই নিয়েও বাচ্চাদের খানিক জানিয়ে রাখলেন তিনি। সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই সমস্ত শিশুদের সঙ্গে দেখা করারও প্রতিশ্রুতি দেন মিমি চক্রবর্তী।