কেশপুর থেকে এইবার শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বাক্যবাণ ছুড়তে দেখা গেল শাসক শিবিরের নেতা মদন মিত্র কে। ব্যাঙ্গাত্মক সুরে এইদিন তিনি বললেন “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল ওদের নোবেল দেওয়া।” এর সাথে হুঙ্কারের সাথে মদন মিত্র বলেন,”কোনও দিন বেইমানি করব না”।
আজ কেশপুরের আনন্দপুর মাঠে এক সভার আয়োজন করেছিল রাজ্যের শাসক শিবির। শুভেন্দুর সভার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই মাঠে সভা করল রাজ্যের শাসক শিবির। আগের দিন বিজেপি নেতা শুভেন্দুর সভায় তৃণমূলের গভীর সমালোচনা করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা। এইদিন সেই একই মাঠে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মদন মিত্র, দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে জেলা নেতা অজিত মাইতি, বিধায়ক শিউলি সাহা, উত্তরা সিংহ, মহম্মদ রফিকরা। এইদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) টার্গেট করে শাসক শিবিরের নেতা মদন মিত্র বলেন,”তুমি যে ধাপে ধাপে উঠেছ, সেই ধাপে ধাপেই বেইমানি করেছ।” তারপরেই বেসুরো নেতাদের আক্রমণ করেন মদন। তার বক্তব্য,”এখন সকলের নাকি অভিমান হয়েছে, দুঃখ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল নোবেল টা এদের দিয়ে দেওয়া। তাহলে আর এইসব কিছু দেখতে হতনা। গণতান্ত্রিক নিয়মেই এইবার এই সমস্ত নেতাদের থাপ্পড় দেবে জনতা৷”
এখানেই থামেননি মদন মিত্র (Madan Mitra)। তার বক্তব্য,”যুদ্ধে জিততে না পারলে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেব, কিন্তু অধিকারীদের মতো বেইমানি করব না।” অন্যদিকে এইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকে নিয়ে বলা শুভেন্দুর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বরোদা ও বারানসী থেকে দাঁড়িয়েছিলেন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। কটাক্ষের সাথে তিনি বলেন, “বিজেপিতে গেলে শিড়দাঁড়াটা বিক্রি করে দিতে হয়।”