নয়াদিল্লি: কেন্দ্রে নয়া কৃষি আইন ঘিরে কৃষক আন্দোলন-বিক্ষোভ অব্যাহত। এবার কেন্দ্রে এই আইন ঘিরে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রাখলেন তিনি।
এদিন ট্যুইটবার্তায় মহুয়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, কারা এই কৃষি আইন চাইছে? এই আইনে কাদের পকেট ভরাবে? এটা বাতিল করলে লোকসান কাদের হবে? এমনিতে কেন্দ্রের নয়া এই কৃষি আইন ঘিরে অনেকদিন ধরেই সরব কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। একাধিকবার এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তীর্যক আক্রমণ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পরে বিজেপির ইউটিউব চ্যানেল থেকে নারদকাণ্ডের স্টিং ফুটেড গায়েব হয়ে গেছিল বলে অভিযোগ। সেটা নিয়েও কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া মিত্র।
কৃষি আইন ঘিরে এখনও চলছে আন্দোলন। গতকাল দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শুরু কৃষক ও সরকার পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। কিন্তু সেখানেও সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষকরা যে ৪টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার মধ্যে ২টিতে সহমত হওয়া গেছে।
দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হচ্ছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, নয়া এই আইন প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধানাসূত্র। কৃষি আইনে বিরোধিতায় এখনও আগের অবস্থানে অনড় কৃষকরা। অন্যদিকে পিছতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকারও। এই অবস্থায় মোট ৪টি বিষয়ের মধ্যে ২টিতে সহমত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। টানা এই কৃষক বিক্ষোভের জেরে বিরোধী দলগুলিরও তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিভিন্ন সভায় তিনি কৃষি আইনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন। কেন্দ্রের নয়া এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাও। এবার সেই কৃষি আইনের প্রসঙ্গ টেনে এনে ৩টি প্রশ্নের জবাব চাইলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মিত্র।