শেষমেষ যে আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটাই হলো সত্যি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পর এবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে কয়লা পাচার মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে তরফ করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে জুলাই মাসে কয়লা পাচার কাণ্ডে তারা তলব করেছিল বাংলার মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং পুরুলিয়া জেলার বাগমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো কে। তখন তারা যাননি। তবে আবার তাদেরকে ডাকা হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একাধিক বিপুল জনসমাগমের সময় বিভিন্ন গা গরম করা বক্তৃতা সারা ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। এরপর এই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। তবে আশঙ্কা তিনি নিজেই যদিও করেছিলেন। সূত্রের খবর সুশান্ত মাহাতো তার না যাওয়ার কারণ ইডিকে ইমেইল করলেও, মলয় ঘটক কোন কিছু জানাননি। তাই এবারে পঞ্চম বারের জন্য মলয় ঘটকের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সভা থেকে অভিষেককে ইডি তলপ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বলেছিলেন, এত বড় সমাবেশের পর চার পাঁচ দিনের মধ্যেই ওরা কিছু একটা করার চেষ্টা করবে। বেশি সময় না নিয়ে মঙ্গলবার আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কয়লা কাণ্ডে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। গত ২৮ আগস্ট মেইল করে অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছিল।
ইডি সূত্রে খবর, কলকাতাতেই নাকি ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নয়া দিল্লি থেকে একটি টিম আসার কথা রয়েছে। যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্ত করতে গিয়ে কিছু তথ্য সামনে এসেছে। সেই সমস্ত তথ্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তাকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাই কলকাতার যারা কয়লা কাণ্ডে তল্লাশি করেছিলেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়েছেন, তারাও জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।