কোনও জল্পনার কিছুই নেই। খেলায় ফিরতে চান লক্ষ্মীরতন শুক্লা। খেলাকে আরও সময় দিতে চান তিনি । তাই এইদিন ইস্তফা দিলেন শুল্কা। মন্ত্রিত্ব থকে শুল্কার পদত্যাগের বিষয়ে এইদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এইদিন তৃণমূল দলনেত্রী বলেন,”লক্ষ্মী ভালো ছেলে। কেউ পদত্যাগ করতেই পারে, সেটা কোনও বিষয় নয়। লক্ষ্মী যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে লেখেনি যে তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করছে। লিখেছে যে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যেতে চান। ও খেলাকে আরও সময় দিতে চায়। তাই এই সে সরে যেতে চায় মন্ত্রিত্ব থেকে। তবে এই টার্মের শেষ পর্যন্ত সে থাকবে বিধায়ক। ঠিক আছে। খেলাধুলো করুক ও। শুভেচ্ছা রইল তার জন্য। রাজ্যপালকে বলছি, তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে নিতে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,”বিনা মেঘে বজ্রপাত” এর মতো এইদিন হঠাত মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ক্রিকেট প্লেয়ার লক্ষ্মীরতন শুক্লা(Laxmi Ratan Sukla) । রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। একই সাথে হাওড়া শাসক দলের জেলা সভাপতির পদ থেকেও তিনি ছুটি চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যেমনভাবে তিনি কাজ করতে চেয়েছিলেন, তিনি তেমনিভাবে কাজ করতে পারেননি। ইস্তফা দিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে মন ভাবেই লক্ষ্মীরতন শুক্লা ক্ষোভ উওরে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই লক্ষীর মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে অনেকটাই উত্তপ্ত রাজনীতি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এইদিন বলেন,”যত তাড়াতাড়ি মুখোশ খোলে ততই ভালো।” আবার রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ নিয়ে বলেন,”ভোটের আগে যদি দলের সেনাপতি সরে যায় তবে তা যুদ্ধ থেকে সরে সরে যাওয়ার মতোই ঘটনা।” তিনি আরও বলেন,”নির্বাচনের আগে একাজটা ঠিক হয়নি। তবে কেউ চলে গেলেও কিছু যায় আসে না।” অর্থাৎ একদিকে মুখ্যমন্ত্রী শুক্লাকে ভালো ছেলে বলে সম্বোধন করেছেন, সেখানেই তার বিরুদ্ধে সুর তুলেছেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) এবং অরূপ রায়(Arup Roy)।