নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘কেউ চাইলে ফিরে আসতে পারেন’, দলবদলুদের ফেরার বার্তা মমতার

আজকে কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বার্তা দিয়েছেন যে দলবদলুদের ফিরে আসলে বাধা নেই

Advertisement

গতকাল সকাল থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বাংলায় জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল শিবির। অন্যদিকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সবাই গেরুয়া শিবিরের সোনার বাংলা পছন্দ না করে বাংলার মেয়ের ওপরেই ভরসা রেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০ এর বেশি আসনে জিততে চলেছে। বঙ্গবাসী প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলার মেয়ের হ্যাটট্রিক দেখতে চাই। অন্যদিকে বিজেপি দুই অঙ্কের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি। আবার নির্বাচনের আগে এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা যারা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল তারা এখন কপাল চাপড়াচ্ছে।

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরই একাধিক তৃণমূল নেতা তার সঙ্গে বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করে। তারা ভেবেছিল বিজেপিতে যোগদান করে বিজেপি নেতা হিসেবে এবারের নির্বাচনে লড়লে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপদে ফেলা যাবে। কিন্তু উল্টে বিজেপি বিরাট মার্জিনে হেরে গেছে। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে অনেক দলবদলু হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে পারে। এবার দল নেবে নাকি সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে অনেক নেতাই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করবে। মনে করা হচ্ছে সব্যসাচী দত্ত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালের মত হেভিওয়েট নেতারা এবার যেহেতু মানুষের রায় পাইনি তাই হয়তো তারা আবার তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করতে পারেন।অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছেন, “কেউ ফিরে আসতে চাইলে আসতে পারেন।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দলবদলুরা একুশে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার আগে দলে থেকে কাজ করতে পারছি না এই অজুহাতে দল ছেড়েছিল। অজুহাত যাই থাকুক এটা স্পষ্ট যে তারা ভোট ব্যাংকের লোভে পড়ে মমতার হাত ছাড়তে রাজি হয়েছিল। তবে এই কাজটা যেন ভুলের বুমেরাং হয়ে তাদের কাছে ফিরে এলো। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের নতুন মন্ত্রিসভা তালিকা প্রস্তুত করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে যে আজকে রাজ্যপালের সাথে বৈঠক করার পর আগামী ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় মন্ত্রিসভা গঠন করবেন।

Related Articles

Back to top button