তৃণমূলকে আন্দোলনমুখী করার বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কালীঘাটে নিজের বাসভবনে বৈঠকের পরে দলের সদস্যদের দ্রুত রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক সফর শুরু হয়ে গিয়েছে মমতার। এর আগে বাঁকুড়াতে তিনি একটি জনসভা করে এসেছেন। সূত্রের খবর, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে রাস্তায় নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এরপরে জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক সভা থেকে দেখা যাবে তাকে। শুভেন্দু অধিকারী যে সব জায়গার দায়িত্বে ছিলেন সে সব জায়গাতে সভা করবেন মমতা।
তবে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এই সফর হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত ছিল তার এই কর্মসূচি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায দলের নেতাদের রাস্তায় নেমে কেন্দ্রের জনবিরোধী এবং রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচারের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। তার সাথে তিনি এবারে বিভিন্ন জনসভায় যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত আগামী সোমবার শিলিগুড়িতে মিছিল করবেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতে সভা করবেন অভিষেক ব্যানার্জি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দলের সঙ্গে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক স্তরের দূরত্ব বাড়ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। এর মধ্যেই তিনি আবার বৃহস্পতিবার বিকেলে এইচআরবিসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। তড়িঘড়ি সেই পদে বসানো হয় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার শুক্রবার সকাল থেকে মন্ত্রিসভার সমস্ত কাজ ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই তার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পর এই জল্পনা বাড়তে থাকে শুভেন্দু হয়তো আর তৃণমূলে থাকবেন না। বিজেপিতে যোগদান করা কেবলমাত্র একটি সময়ের অপেক্ষা বলেও অনেকের ব্যাখ্যা। তবে অপর একটি মহল জানিয়েছে,” শুভেন্দু কে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তবে বর্তমানে শুভেন্দুর দলটাকে নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। বরং তাদের এখন প্রধান চিন্তা কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে হয় সেই নিয়ে। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কোমর বেঁধে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।