প্রচারে ঝড় তুলতে নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা-শুভেন্দু, দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি তুঙ্গে
১ লা এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন শুধু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। গত শনিবার রাজ্যের ৫ টি জেলার ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১ লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট নিয়ে রীতিমতো সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সম্মুখ সমরে নাচছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গেরুয়া সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। মমতা শুভেন্দুর হেভিওয়েট লড়াই দেখার জন্য এক প্রকার মুখিয়ে আছে গোটা বঙ্গবাসী। তবে নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো প্রচারে ঝড় তুলতে আজ নন্দীগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন দুই মহারথী।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বিকেলে নন্দীগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন। আসলে আগামীকাল নন্দীগ্রামে শেষ প্রচার করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। তাই আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে রোড শো করার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পায়ে চোট পাওয়ার কারণে তিনি শেষ মুহূর্তে রোড শো বাতিল করে হুইল চেয়ারে বসেই নন্দীগ্রামের পাড়ায়-পাড়ায় মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন। এর আগে নন্দীগ্রামে গিয়েই পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা। তাই আজ প্রচারে কোন খামতি রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। তার সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশি ঘেরাটোপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সময়কালে সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টইলদারি চালাচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয় কোন ব্যক্তির আইডি কার্ড দেখাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ নন্দীগ্রামে ৫ টি জায়গায় জনসভা করে গেরুয়া প্রচারে ঝড় তুলতে চায়। তিনি সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রচারের উদ্দেশ্যে। তিনি সকালে নন্দীগ্রামের বয়ালে পূজা দেওয়ার পর জনসভার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। গ্রামের সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ার কারণে সে বিজেপি কর্মীর বাইকে চরেই সভাস্থল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাস্তায় রাস্তায় গ্রামবাসীরা তার ওপর পুষ্প বর্ষণ করছেন। তিনি মাঝেমাঝেই বাইক থামিয়ে জনতাদের সাথে কথা বলছেন। এককথায়, নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার মাত্র ২০ ঘণ্টা আগে তৃণমূল বিজেপির প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেউ অন্যজনকে ভোটযুদ্ধের ময়দানে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ।