“আমাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে”, নিজাম প্যালেসে পৌঁছে হুংকার মমতার
সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সোমবার সকাল সকাল সিবিআই গোয়েন্দারা নারদ কাণ্ডের জেরে তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানে মাত্র ১৫ মিনিট তার সাথে কথাবার্তা বলার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই গোয়েন্দারা। তাদেরকে গ্রেফতার করে সিবিআই প্রধান দপ্তর নিজাম প্যালেসে আনা হয়। সিবিআই আজই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। এই খবর শুনে তড়িঘড়ি নিজাম প্যালেসে দৌড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তার মাঝে তিনি ফিরহাদ হাকিম এবং আরও তিন নেতার গ্রেপ্তারের খবর পান। তাই সোজাসুজি তিনি নবান্ন না গিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান। সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে তিনি নিজাম প্যালেসে পৌঁছে সোজাসুজি দুর্নীতি দমন শাখার ১৫ তলার অফিসে চলে যান। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেছেন, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা না হলে তিনি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরোবেন না। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বেআইনিভাবে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমায় গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরোবো না।”
অন্যদিকে বঙ্গ রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন যে নারদ কান্ডে শুভেন্দু অধিকারী জড়িত থাকলেও তাকে ডাকা হল না কেন? তাকেও তো টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। এই বিষয়ে ম্যাথু স্যামুয়েল জানিয়েছেন যে জাস্টিস সবার জন্য এক হবে, এটা হওয়া উচিত। অন্যদিকে সিবিআই দাবি করেছে যে তারা আইন অনুযায়ী কাজ করছে। রাজ্যপালের থেকে অনুমতি নিয়ে তারা গ্রেপ্তার করেছে। তৃণমূলের এখন একটাই প্রশ্ন যে তাহলে মুকুল বা শুভেন্দু কেন গ্রেফতার হলো না?