কলাইকুন্ডা প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে শুভেন্দু কেন? প্রশ্ন তুলে বৈঠকে না থাকার হুঁশিয়ারি ‘অসন্তুষ্ট’ মমতার
যশ ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে সকাল থেকেই হেলিকপ্টারে চড়ে বেরিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গতকাল নবান্ন সভাঘর থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি আজ ঝড় কবলিত বিভিন্ন এলাকায় আকাশপথে পরিদর্শন করবেন এবং মাঝে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার বৈঠকের দিনের সকালে জানা গেছে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই খবর শুনেই বেজায় চটেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যদি শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে আসেন তাহলে মমতা ব্যানার্জি কলাইকুন্ডায় হেলিকপ্টার থেকে নামবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
গতকালের সূচিমত আজ সকালেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন্যা কবলিত এলাকায় চলে গিয়েছেন। প্রথমে তিনি গেছেন হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায়। এরপর তার সন্দেশখালিতে একটি রিভিউ মিটিং করার কথা রয়েছে। তারপরই কলাইকুন্ডার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল তার। কিন্তু সকালে শুভেন্দু অধিকারী সেই বৈঠকে থাকার কথা উঠলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তালিকা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম বাদ না গেলে তিনি হেলিকপ্টার ঘুরিয়ে দীঘায় চলে যাবেন।
তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে তাপস রায় জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিকভাবে প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণত এই ধরনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী থাকেন। কেউ যদি অতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হাজির হন তা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যের সমস্যার মাঝে হঠাৎ করে কোন একজন বিরোধী দলের বিধায়ককে কেন ডাকা হবে? এর কোনো প্রয়োজন কি আছে?” অন্যদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “বিরোধী দলনেতা থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব আছে। রাজ্যে সুস্থ গণতন্ত্রের নিদর্শন হওয়া উচিত।”