২৩০ আসনে জিততেই হবে তৃণমূলকে, লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল মমতা

রাত পোহালেই শুরু হবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্ব। রীতিমতো সুরক্ষার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে নন্দীগ্রামকে। নির্বাচন কমিশন নন্দীগ্রামের সবকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নন্দীগ্রামের বিভিন্ন…

Avatar

রাত পোহালেই শুরু হবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্ব। রীতিমতো সুরক্ষার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে নন্দীগ্রামকে। নির্বাচন কমিশন নন্দীগ্রামের সবকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নন্দীগ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাকা চেকিং করছে ও রুট মার্চ করছে। এছাড়া আকাশপথে হেলিকপ্টার ওপর থেকে নজরদারি চালাচ্ছে। গতকাল সন্ধে থেকে নন্দীগ্রাম জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে যার জন্য একসাথে ৫ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবে না। আর এতকিছুর পিছনে প্রধান কারণ হলো মমতা বনাম শুভেন্দুর মহাযুদ্ধ।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ একটি জনসভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের ২২৫-২৩০ আসন পেতেই হবে। না হলে চলবে না। বিজেপি নেতারা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে আবার দলের মীরজাফরদের কিনে নিতে পারবে। তাই অনেক বেশি ভোটে তৃণমূলকে জিততে হবে।” এছাড়াও তিনি আজ সিঙ্গুরের সভা থেকে বলেছেন, “ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে হোটেলে বসে রয়েছে বিজেপি নেতারা। কোটি কোটি টাকার লেনদেন করছে ওরা।”

এছাড়া এদিন বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “সব ধার করা নেতাদের। আমাদের দলের গদ্দার আর মীরজাফররা ওদের দলে গিয়ে প্রার্থী হয়েছে। ওরা কাদের নিয়ে বঙ্গ দখল করবে। যাইহোক ওদের একটা কথা বলার আছে। দয়া করিয়ে ধার চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। টাকা দিয়ে নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন চেকিং করলেই সব ধরা পড়বে।” এছাড়াও তিনি এদিন সকলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আপনাদের কাছে একান্ত অনুরোধ, স্বচ্ছ নির্বাচন করুন।”

About Author