এবারের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের সবথেকে হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। আগামী পহেলা এপ্রিল নন্দীগ্রামে নির্বাচন। তার আগেই প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে প্রচার করছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, আবার অন্যদিকে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। তারপর থেকে হুইল চেয়ারে বসেই বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সভা করে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবারে নন্দীগ্রামের টেংগুয়ার জনসভা থেকে তাকে দেখা গেল হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে। জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য তিনি কোনভাবে দলীয় কর্মীদের সাহায্য নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
শেষবারের প্রচারে ঝড় তোলার জন্য ব্যস্ত শুভেন্দু অধিকারী, অমিত শাহ, মিঠুন চক্রবর্তী সকলে। তখন হুইল চেয়ারে বসে ভাঙ্গা বেড়া থেকে সোনাচূড়া পর্যন্ত প্রথমে রোড শো করলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর তিনটি জনসভা করলেন পরপর। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া জনসভা থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য তিনি উঠে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
তৎক্ষণাৎ মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্যরাও তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেন। দেখা গেল, তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। যদিও এক সহকর্মীকে তিনি নির্দেশ দিলেন, তাকে সাহায্য না করে যথাযথভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “হাতজোড় করে জাতীয় সংগীত গাও। আমি ঠেস দিয়ে আছি, পড়বো না।” এর পরেই তার হুইল চেয়ারে ঠেস দিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।