মাজেরহাট সেতু নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় এইদিন রেলকে দায়ী করল নবান্ন। এইদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন যে, রেলের কাছে বারবার দরবার করেও অনুমতি পাওয়া পাওয়া যায়নি। তার জন্যই ৯ মাস পিছিয়ে গিয়েছে সরকারি কাজ। আর তারপর ফটো তুলতেই কারণ ছাড়া বিক্ষোভ করেছে গেরুয়া শিবির।
এইদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”অরূপ এইদিন রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। ৯ মাস ধরে অনুমোদন পাওয়া যায়নি রেলের পক্ষ থেকে। আচ্ছা, তখন কি বিজেপি পার্টি ঘুমচ্ছিল? না নাক ডেকে হুঁকো টানছিলেন তারা? ৯ মাস প্রতিদিন মিটিং করেছিল। আর পায়ে ধরে বলেছি ক্লিয়ারেন্স দাও। গঙ্গাসাগর মেলায় মানুষ যাবে। আজ ২-৩ বছর হল কতটা কষ্টই না পাচ্ছেন বেহালার মানুষ। ৯ মাস আগেই সব কিছু ঠিক হয়ে যেত। শুধু রেলের অনুমতির জন্য নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হয়নি। তবে এইবার রেলের ১০০% অনুমতি পেতে আর বাকি মাত্র ৭-৮ দিন। এটা কেবল কেন্দ্রের ঢিলেমির জন্য হয়েছে।”
বেহালার জন্য কি করেছেন তিনি, তাও এইদিন উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,”বেহালার মানুষকে নরুন করে শেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। মেট্রো করে গিয়েছি বেহালায়। আমি মাজেরহাট ব্রিজ করেছি। স্টেডিয়াম করে দিয়েছি সেখানে। অনেক উন্নতি করেছি। রোজই এক কথা বলি।”
অন্যদিকে এইদিন তারাতলায় বিজেপির বিক্ষোভে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আটক করেন পুলিশ। সেই বিষয়ে নাম না করে এইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” বিজেপির নেতা আজ গাড়িতে উঠে বলেছেন তাকে গ্রেফতার করতে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। বলেছে আপনাকে গ্রেফতার করিনি। অ্যারেস্ট করেনি তাকে। বলেছে ফটো দিখানা পাড়েগা। প্রতিদিনের প্ল্যান হয়ে গিয়েছে এটা। দেখাতে হবে ফটো। কাজ কর্ম নেই তো। প্রশ্ন করুন, আলুর দাম কেন এত বেশি? দায়িত্ব নিয়ে কেন কমছে সেই দাম? কেন কমছেনা পেঁয়াজের দাম? কোনও কিছু করার ই ক্ষমতা নেই তাদের।”
এইদিন আটক হওয়ার পর বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি বাক্যবাণ ছোঁড়েন মমতাকে। তিনি বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাংলাতে গণতন্ত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রী স্বৈরাচারী।”