“ভোট আসলেই বলে চা-বাগান খুলে দেব, আর ভোত মিটলেই পালিয়ে যায়”, বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী
ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জনসভায় ফের চা বাগান প্রসঙ্গ
আসন্ন বিধানসভা ভোট। উত্তর বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় আবার উঠল চা বাগানের বিষয়। গেরুয়া শিবিরকে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন কটাক্ষ করে বলেন,”ভোট আসলেই বলে সব চা বাগান খুলে দেব। আর ভোট চলে গেলেই সবাই পালিয়ে যায়।” এই দিন সরকারি অনুষ্ঠানে চা সুন্দরী প্রকল্পের উত্তর বাংলার ১২ টি চা বাগানের ৪ হাজার ৬০০ জন শ্রমিকের হাতে বাড়ি বণ্টন সংক্রান্ত নথি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘোষণা করে বলেন,”আগামীদিনেও বিনা পয়সার সবাই রেশন এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাবেন। রেশন কার্ডের মতোই স্বাস্থ্যসাথীরও ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে।”
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তর বাংলায় কার্যত ভরাডুবি হয়েছে শাসক শিবিরের। ৮ টি লোকসভা আসনের মাঝে ৭ টিতেই জিতেছে গেরুয়া শিবির। আর মালদহ দক্ষিণে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা ভোটে কি হবে? ৪ দিনের জন্য উররবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দ্বিতীয় দিনে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর দুয়েক আগে শেষবার অলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র হতে জানা গিয়েছ, তখন আদিবাসীদের গণবিবাহ আসরের আয়জন করে পুলিশ এবং প্রশাসন। সরকারি অনুষ্ঠানে বিয়ে করলেন ৪৫০ জন দম্পতি। সংক্ষিপ্ত ভাষণের পড়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার দেন সেই দম্পতিদের। আদিবাসীদের নাচে পা মেলাতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন,”আদিবাসীরা আমাদের গর্ব, আমাদের সকলের অহংকার।”
এদিন ‘সামাজিক অনুষ্ঠানে’ অবশ্য ভাষণ দীর্ঘায়িত করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমার যা বলি, তাই করি। ওরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। কুৎসা অপপ্রচার ছাড়া কিছু করেছে?” এরপরই সভায় উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “বিজেপির এতগুলি এমপি জিতেছে, কোনও কাজ করেছে? এতগুলি চা বাগান বন্ধ, কিছু করেছে?” এর আগে ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গতকাল সকালে শিলিগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে বাঘাযতীন পার্কে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।