আগামী ১৯ ডিসেম্বর আবারও বাংলা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাও এসেই পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় সভা করবে বলে সূত্রের খবর। আর তারপর থেকেই মঙ্গ রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় হয়তো তৃণমূল বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করবেন। অবশ্য এই জল্পনার আগেই আজকে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পার্টি “বেসুরোদের” প্রতি অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
দুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডাকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করেছিল দল। আর বহিষ্কারের পর কনিষ্ক পণ্ডা বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার চিন্তা করুন পিকে দলের বড় নেতা না শুভেন্দু অধিকারী দলের বড় নেতা।” আর আজকে উত্তরবঙ্গ জনসভা থেকে তার পাল্টা জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কোন রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, “আমি বড় বা ও বড়, দলে এর কোনো প্রয়োজন নেই। ১০ বছর পার্টির খেয়েছ আর সরকারের থেকে সবটা নিয়েছো, আর নির্বাচনের মুখে এসে ওর সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে? আমি এদের সহ্য করব না আমার দলে।”
এছাড়াও তিনি এদিন জানিয়েছেন, “এবার তৃণমূলের নেতাদের আসল পরীক্ষা হবে নির্বাচনে। যারা ১০ বছরের ৩৬৫ দিন মানুষের হয়ে কাজ করলো তাদের এবার হবে আসল পরীক্ষা। আর ২০২১ এ নির্বাচনের পরীক্ষায় বিজেপিকে এমন হারান হারাতে হবে যে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না।” সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, ভোটের আগে বিজেপি অনেক টাকা ওড়াবে। তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “বিজেপি টাকার প্যাকেট নিয়ে আপনাদের কাছে আসবে। সেই টাকা আপনি নিয়ে নেবেন। ওটা আসলে আপনাদেরই টাকা। তারপর ভোটের বাক্সে গিয়ে বিজেপিকে উল্টে দেবেন।”
এছাড়াও কিছুদিন আগেই বাংলা গেরুয়া শিবির তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিল যে ডিসেম্বর মাসের পর বিজেপি পাল্টা মার শুরু করবে। অবশ্য সেই হুমকিতে একফোঁটা ভয় পাননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বরং উল্টো তিনি বলেছেন, “আমি এমনিতে খুব ভালো মানুষ। ১০০ শতাংশ শান্তির লোক। কিন্তু আমার গায়ে যদি তুমি আঘাত করো তাহলে আরো কঠিন প্রত্যাঘাত পাবে। আর তখন কোটি কোটি লোককে আনলেও প্রত্যাঘাত রুখতে পারবেন না।”