একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি তাদের পূর্ণ উদ্যমে ভোগ প্রচারের কাজে মাঠে নেমে পড়ছে। নবান্ন ধরে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালভাবেই জানেন যে তার জঙ্গলমহলের ভোটব্যাঙ্ক প্রয়োজন। তাই মুখ্যমন্ত্রী হুইল চেয়ারে বসেই গত দু’দিন ধরে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় জনসভা করছেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল সুপ্রিমো পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় জনসভা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি সেখান থেকেই বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে গলায় সুর তুলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ আবারও বিজেপিকে নারীবিরোধী প্রমাণ করার জন্য একাধিক তত্ত্ব খাড়া করেছে। সেইসাথে তিনি বাংলার মা-বোনেদের উপদেশ দিয়ে বলেছেন, “মা-বোনেদের বলছি যে আপনারা তো ঘরের ও বাইরের কাজ উভয় করেন। যখন দেখবেন লুঠেরা আসছে তখন হাত খুন্তি নিয়ে তেড়ে আসবেন।”এছাড়াও তিনি এদিন বলেছেন, “বিজেপি নির্বাচন এলেই সামনে হরি হরি করে। আর পিছনে গিয়ে দেখবেন ডাকাতি করছে। আদিবাসীদের সহ্য করতে পারে না ওরা। অসম, দিল্লি ও বিভিন্ন বিজেপি শাসিত এলাকায় দলিতদের উপর অত্যাচার হয়। ওদের বহু মানুষকে খুন করা হয়। ওরকম অরাজকতা বাংলায় আনা যাবে না।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগড়বেতার জনসভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন। তিনি সেখানে পৌঁছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছেন, “ওরা রেল, কোল, বীমা ও ব্যাংক সব বেচে দিচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে। সেটা কেউ দেখতে পাচ্ছি না। আর গরিব লোক ৫ পয়সা নিলে তাকে চোর বলছে। পিএম কেয়ার, এয়ার ইন্ডিয়ার টাকা কোথায় গেল জবাব দিতে হবে।” এছাড়াও তিনি এদিন বলেছেন, “নির্বাচনের আগে আপনার দুয়ারে এসে বিজেপি টাকা দিতে চাইবে। এটা নিয়ে নেবেন। কারণ টাকাটা আপনাদের। কিন্তু টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইলে ভোট দেবেন না। ভোট কেনা যায় না। ভোট হল মানুষের সম্পদ।”