‘বেচারা পুলিশ ব্রেনটা ইউজ করে না’, রাজ্য পুলিশকে তুলোধোনা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বহরমপুরে একটি ভার্চুয়াল জনসভায় উপস্থিত ছিলেন
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে উপস্থিত হয়েছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ছয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর দুই দফা নির্বাচন। সেই উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আজ ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মুর্শিদাবাদে একটি ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বহরমপুরের রবীন্দ্র সদন থেকে এই ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গেরুয়া শিবির নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সেই সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্য পুলিশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
বহরমপুরের ভার্চুয়াল জনসভা থেকে তিনি বলেছেন, “গেরুয়া শিবির এবং কমিশনের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ। বিজেপির পক্ষপাতিত্ব করছে নির্বাচন কমিশন। তবে তৃণমূলের কোনো বিকল্প নেই। এবারের নির্বাচনে আমরা জিতব। তৃণমূল কর্মীদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা নির্বাচনে জেতার পর সুপ্রিম কোর্টে কেস করবো।”
এছাড়াও তিনি আজ রাজ্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, “আমাদের পুলিশ বেচারা নির্বাচন এলেই ভয় পায়। যেন ঘুঘুর বাসায় পড়েছে। নিজেদের ব্রেনটা ইউজ করতে পারে না। ওরা ভাবছে নির্বাচন কমিশন যা বলবে তা ওরা শুনতে বাধ্য। তবে আবার যে বাকি পাঁচ বছর আছে তা ওরা ভাবে না। আমরাই তো আবার আসবো।” এছাড়াও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকেই বেরোবেন এবং নির্বাচনে ভোট করাবেন। আমরাই পাওয়ারে থাকবো। কেস করলে আমরা দেখে নেবো।”
এছাড়াও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ গেরুয়া শিবিরকে দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “ওরা বাইরে থেকে করোনা রিপোর্ট না করিয়ে ২ লাখ কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দিয়েছে। সাথে এক গাদা করে বিজেপি কর্মী বাইরে থেকে এসে বাংলায় রয়েছে। করোনার মতো পরিস্থিতিতে বাংলার বাইরে থেকে ৪-৫ লাখ পড়ে থাকলে আর কি করা যাবে।” সেইসাথে তিনি উপদেশ দিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর কেউ এলে দূর থেকে কথা বলবেন।”