নন্দীগ্রামে একদিকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। এই দুই হেভিওয়েট নেতার লড়াইয়ে কে জিতছে? সকলেই এখন তাকিয়ে তার দিকেই। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এইবারে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামে ভোট শেষ হওয়ার পরেই বেশ আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। বিজেপি কে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপি যতই কারচুপি করুক না কেন নন্দীগ্রামে তিনি জিতবেন।
তারপর উলুবেড়িয়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দিদি, একটা গুজব রটে গেছে আপনি নাকি অন্য কোথাও কোনো একটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রথমে তো আপনি নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানকার মানুষ তো জবাব দিয়ে দিয়েছে। এখন যদি আপনি অন্য জায়গায় ভোটে লড়তে চান, সেখানকার মানুষ তৈরি আছে জবাব দেবার জন্য।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্য শোনার পর তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয়। তৃণমূলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূল নেত্রী দ্বিতীয় কোন আসন থেকে ভোটে লড়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। তিনি নন্দীগ্রাম থেকে খুব ভালোভাবে জয়লাভ করবেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে ঠেস দিয়ে বলেন, “আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। কিন্তু গণতন্ত্র নিয়ে। বেশ কিছু জায়গায় ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। বয়ালে চিটিংবাজী হয়েছে। সকাল থেকে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে কমিশনের কাছে। ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়েছে। কিন্তু, কমিশনের তরফ এ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।”