সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে জোর চাপানউতোর চলছে। অনেকেই মনে করছেন এবার হয়তো তিনি একেবারে তৃণমূল দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। আবার অনেকের ভাবনা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর পদত্যাগ তৃণমূল শিবিরকে ভোটযুদ্ধে পিছিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে ভোট যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগামী ৭ ডিসেম্বর প্রথম সভা করতে চলেছেন হটস্পট মেদনীপুর টাউনে।
শুভেন্দুর পদত্যাগের পরেই অনেকেই মনে করেছে ভোটের মুখে হয়তো এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, “পুরো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদি গোটা পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী। তার নির্দিষ্ট কোন কেন্দ্র শক্তিশালী কেন্দ্র এমন নয়।” এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, পুরো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ নিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অবতীর্ণ হবেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ৪ ডিসেম্বর অবধি জেলা সভাপতিদের সাথে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ৭ ডিসেম্বর থেকে সম্মুখ সমরে নিজেই সভা করতে শুরু করবেন তিনি। প্রথম সবাতিনি রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর টাউনে। সেই দিনের সভাই প্রমাণ করবে সব সিটে অল আউট করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো। সেদিনকার সভাই দুই মেদিনীপুরের অসংখ্য তৃণমূল সমর্থক জমা হবে।
অতীতের কথা মাথায় রেখে ভোটযুদ্ধের আগে নিজে পথে নেমে সবকিছু যাচাই করে নিতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরের সভা থেকে। যদিও এখন অব্দি তৃণমূল সরকার শুভেন্দু দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। এখন অব্দি তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী শুভেন্দুর জন্য দরজা খোলা আছে বলে বরফ গলাবার চেষ্টা করেছে।