“মমতার ১০ বছরের শাসনে কেবল নির্মমতা”, রাজ্যের শাসক শিবিরকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
"বাংলার লড়াই তৃণমূলের সাথে", তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর (Narendra Modi)
বাংলায় এসে তৃণমূলকে একের পর এক আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চনা শুরু করে দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে বাদ গেলো না কোনও তোপই। এইদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন,”বাংলার পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ তার কারণ, এই রাজ্যের রাজনীতি। স্বাধীনতার পরে এখানে উন্নয়নের রাজনীতি কড়া হয়নি। কংগ্রেস এবং বামেদের আমলে দুর্নীতি হয়েছে, হয়েছে অত্যাচারও। বিকাশে ব্রেক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে গোটা দেশের জনরে বাংলায় ছিলেন। এই সময়ে মমতা দিদি পরিবর্তনের স্বপন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু গোটা ১০ বছর নির্মমতা হয়েছে।
তৃণমূলকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কোনও পরিবর্তন না। বামেদের পুনঃজীবন। দুর্নীতি অপরাধ এবং হিংসার পুনঃজীবন হয়েছে। এর জন্য বাংলায় বাড়ছে দরিদ্রের সংখ্যা। কৃষকরা কোনও সুবিধাই পান না। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। তার বক্তব্য,”ভারত মাতা জয় শুনলেও উনি রেগে যান। কিন্তু দেশের বিরোধী যারা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দিদির কোনও রাগ নেই। আপনারা সংবাদ দেখেছেন নিশ্চয়ই। ভারতকে বদনাম করার জন্য বিভিন্ন বিদেশী শক্তি সামনে আসছে। ভারতকে কিভাবে বদনাম করা হবে তা নিয়ে ষড়যন্ত্র কড়া হচ্ছে। ভারতকে বদনাম করার জন্য চা শিল্পের বদনাম করা হচ্ছে।”
তৃণমূলকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, “করোনা পরিস্থিতিকালে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এই সরকার সেটাও ঠিকঠাক ভাবে করতে অসমর্থ হয়েছে। এটা খুব ভালো বাংলায় ৪ লাখ জনধন অ্যাকাউন্ট আগে খোলা হয়েছিল। তার ফলে টাকা পৌঁছানো গিয়েছে। উজ্জলা যোজনার গরিবদের গরে এলপিজি গ্যাস পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। করোনার পরিস্থিতিতে বাংলার কৃষকদের টাকা মেলেনি। করোনার জন্য গোটা দেশে কৃষকদের খাতে প্রধানমন্ত্রী সম্মান বিধিতে টাকা দেওয়া হয়েছে। দুঃখের সাথে বলছি, তা পাননি বাংলার কৃষকরা, কারণ এখানকার সরকার এই প্রকল্পেই যুক্ত হতে চায়নি। কৃষকদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,”বাংলায় আমাদের লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদের বন্ধুদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। দিল্লিতে একঘরে এই তিন দলের নেতারা এক সাথে বৈঠক করে। এখানকার সরকার উন্নয়নে , প্রকল্পে আটকাচ্ছে।”