‘জয় শ্রী রাম’ এ কেন অপমানিত বোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোচবিহার জনসভায় প্রশ্ন তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এমনকি তারা এমনটাও দাবি করেছেন যে,”নির্বাচন আসতে আসতে মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলতে শুরু করে দেবেন।” সেই মুখ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে এইদিন বললেন,”আমরা জয় সিয়া রাম বলি। মানে সীতা ও রাম একসাথে।”
এই দিন অমিত শাহ বলেন,”বাংলায় এমন পরিবেশ তোইরি করেছেন, যেন জয় শ্রী রাম বলে একটা অপরাধের সমান। আরে দিদি জয় শ্রী রাম এখানে না বললে কি মানুষ পাকিস্তানে বলবে? জয় শ্রী রামে কেন অপমানিত বোধ করেন আপনি? গোটা দেশ, এমনকি দুনিয়া জুড়ে কোটি কোটি মানুষ আমাদের আরাধ্য শ্রী রামকে স্মরণ করিয়ে গৌরবান্বিত হন। আর আমি একটা সম্প্রদায়ের ভোটের জন্য তোষণ করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভোট আসতে আসতে মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলতে শুরু করে দেবেন।”
গেরুয়া শিবিরের ‘জয় শ্রী রাম’ ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক স্লোগান বলে বহুবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্য,”আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। ধর্ম কারও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। উৎসব বিশ্বজনীন। ওরা বলে, জয় শ্রী রাম। আর আমরা বলি জয় সিয়া রাম। মানে সীতা ও রাম। ওরা অপপ্রচার করে। আর সেটাই মিডিয়া দেখায়।
২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরের জয় শ্রী রাম ধ্বনি নিয়ে আপত্তি তুলতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু আগের ১৩ এ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়ায় যে ছবি দেখা গিয়েছে, তা এক কথায় নজর বিহীন বলা চলে। মুখ্যমন্ত্রী পোডিইয়ামে বক্তব্য রাখতে উঠলে দর্শকদের মধ্যে থেকে কিছু গেরুয়া শিবিরের সমর্থক ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তোলেন। সমস্ত ঘটনাটি ঘটে প্রধানমন্ত্রীর সামনে। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা এবং ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের বক্তৃতা বয়কট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই এই ইস্যুতে আক্রমণের সুর কয়েক ধাপ উপরে নিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনে মমতার মেজাজ হারানোর ঘটনার নজির কম নেই।