ভোটের আগে দফায় দফায় রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তা আগেই জানানো হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের থেকে। সেই অনুসারে প্রায় প্রতি মাসেই দুই- একবার করে বাংলা সফরে আসছেন তারা। শনিবারই সদ্য মালদহ সফর সারেন গেরুয়া শিবিরের সর্ব ভারতীয় সভাপতি। তারই পাল্টা হিসাবে এই বার আসরে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মালদহে একটি সভা করবেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানান নেত্রী মৌসম বেনজির নূর (Mousam Benozir Nur) । তার আগে অবশ্যই আগামী ৯ ফব্রুয়ারি বর্ধমানে মাটি উৎসবের সূচনা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
কিছুদিন আগে মৌসম বেনজির নূরেরও দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে নিজেই মুখ খুলে সে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি নিজে। আপাতত সংগঠনকে শক্তপোক্ত করতেই ব্যস্ত তিনি। শনিবার তথা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মালদহে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোথায় সভা করবেন তিনি, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি এখনও। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাটি উৎসবের সূচনা করবেন মূখ্যমন্ত্রী। সূত্র হতে জানা গিয়েছে, তারপরই মালদহে যাওয়ার কথা তার।
আগের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করতে পারেনি শাসক শিবির। আসন্ন ভোটে যাতে ওই ফলের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ তৃণমূল। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেন কর্মিসভা। উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তার আগে উত্তরবঙ্গে যান সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ সম্পর্কে জানতে একাধিক বৈঠকও করেন। বিজেপিকে হঠাতে এবার মালদহ, মুর্শিদাবাদের সংগঠনকে শক্ত করতে উদ্যত তৃণমূল। তাই ভোটের আগে সেসব জায়গায় গিয়ে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানো এবং সংগঠনকে মজবুত করারে চেষ্টায় মরিয়া তৃণমূল।