দলবদল মিহির গোস্বামীর। এইদিন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেন তিনি। শুক্রবার সকালে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি কার্যালয়ে যান নেতা। সেখানে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি। তার যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আরপি সিংহ সহ বহু বিজেপি নেতা।
এইদিন বিজেপিতে যোগদানের পরে কোচবিহারের নেতা বলেন,”৩রা অক্টোবর তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আজ নিজের ইচ্ছে তে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। রাজ্যে অনাচার চলছে। ঠিকাদারের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বাংলায়। তার বিরুদ্ধে এটা আমার গুরুতর সিদ্ধান্ত।”
গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সিদ্ধান্তকে ধর্মযুদ্ধ মনে করে মিহির বলেন,”স্বাধীনতার পর থেকে আমি উত্তরবঙ্গে যে অনাচার দেখে চলেছি, তার বিরুদ্ধে এটা আমার ধর্মযুদ্ধ বলা চলে। আমি বাংলায় নতুন ভোট দেখতে চাই। আমার ধারণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমার উত্তরবঙ্গ সুদিন পাবেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার তথা আজ কোচবিহারের গেরুয়া সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সাথে দিল্লির দিকে গিয়েছিলেন মিহির। তখনই তার বিজেপি যোগদানের বিষয়কে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে অবসান ঘটেছে সমস্ত রাজনৈতিক জল্পনার।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠেছিল মিহিরের দল বদলের বিষয়কে ঘিরে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিল রাজনৈতিক ধোঁয়াশা। শোনা যাচ্ছিল নানা গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছিল তার ক্ষোভ অভিমানের কথা। কিন্তু সেই বিষয়ে তার প্রাক্তন দল তৃণমূল কর্ণপাত করছিল না বলে অভিযোগ মিহিরের। গতকাল তথা বৃহস্পতিবার মিহির বাবু নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেন, সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন,দীর্ঘ দশ বছর ধরে দলের অনুগত রয়েছেন তিনি। কিন্তু যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি তাকে। এই জায়গা থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে তার মনে। সেই থেকে এবং তার দিল্লিতে যাওয়া থেকে দল পরিবর্তনের বিষয়টা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। অবশেষে অবসান হল সমস্ত জল্পনার।