শুভেন্দুকে নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় চলছে , ঠিক সেই সময় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ককে ঘিরে। দলের কোনও কাজেই দেখা যাচ্ছেনা তাকে। সেই নিয়েই রাজ্য রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ঘোর চর্চা। তিনি নাকি বদলে ফেলবেন দল- এমনটাই শোনা যাচ্ছে লোকমুখে। আবার কারও কারও মতে রাজনীতি কে চিরতরে বিদায় জানাবেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাকে।
আসতে চলেছে বিধানসভা ভোট। আর তাকে সামনে রেখেই ইতিমধ্যে কর্মী সম্মেলন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি এমনই এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কালনা দুই নম্বর ব্লকে। কিন্তু সেই সম্মেলনে ছিলেন না কালনার তৃণমূল বিধায়ক। তাকে দেখা যায়নি কালনা শহর কর্মী সম্মেলনেও। এরপর তিনি অনুপস্থিত ছিলেন কালনা বিধানসভা কর্মী সম্মেলনেও। এই সব বিষয়কে মাথায় রেখেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জেলা জুড়ে মানুষের মনে ঘুরছে কেবল একটাই প্রশ্ন- তবে কি দল ছেড়ে দেবেন তিনি?
সাধারণত কর্মী সম্মেলনগুলির আয়োজন করতে দেখা যাচ্ছে বিধায়কদেরই। এমন অবস্থায় তার অনুপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে শাসক দলকে। বাধ্য হয়ে দলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ওপর গিয়ে পড়েছে সম্মেলন আয়োজনের ভার। আর তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।
এমনিতেই কালনায় শাসক দলের গোষ্ঠী যুদ্ধ বেশ অনেকটাই প্রচলিত। কালনায় পুরসভার চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিবাদ কারো অজানা নয়। এই বিষয়ে আগে হস্তক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্বকে ও। কিন্তু কোনও কর্মসূচিতেই আর দেখা যায়নি বিধায়ককে। যা অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের অস্বস্তির। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু । যার ফলে সমালোচনার ঝড় এবং জল্পনা পৌঁছেছে তুঙ্গে।