“তৃণমূল সরকার কৃষকদের ব্যাঙ্কের তথ্য দেয়নি”, কৃষক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর
মেদিনীপুরের পুণ্যমাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি, বক্তব্য মোদীর (Narendra Modi)
আজ হলদিয়ায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেখানে হলদিয়া পরিশোধনাগারের দ্বিতীয় ক্যাটালিটিক ইসোডিওয়াকসিং ইউনিটের শিলান্যাস করেন তিনি। অন্যদিকে এইদিন উত্তারখণ্ডের দুর্ঘটনার বিষয়েও নিজের বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেন, ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এনডিআরএফের সাথে কথা হয়েছে। ওখানে উদ্ধারের শুরু হয়েছে। সবাইকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ওখানে খুব বরফ পড়েছেন কিছুদিন আগেই। সরকার সবরকম চেষ্টা চলছে।
এই সমস্ত কিছু বলার পরে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন। তিনি বলেন, মেদিনীপুরের পুণ্যমাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই মাটিতে তোইরি হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এই মাটির বীর সন্তান বিদ্যাসাগর মহাশয় বাঙালিকে বর্ণপরিচয় দিয়েছেন। সতীশ চন্দ্র সামন্তের হাতে মেদিনীপুরের মাটির গুণে আমি মুদ্ধ। গোটা দেশকে দিশা দেখানো মহান মনীষীদের জন্ম দেওয়া বাংলাকে আমি প্রণাম জানাই।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বারের চা বাগানে নজর দেওয়া হয়েছে। বাংলার নির্মাণ এবং উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রাথমিক লক্ষ্য। চা বাগান শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় ৫ হাজার কোটি প্রকল্পের সূচনা হচ্ছে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কলকাতায় সড়ে ৮ কোটি টাকার মেট্রো প্রকল্প চালু হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এই বছরের হাজার কোটি টাকা বাংলায় জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ কড়া হয়েছে। কলকাতা এবং শিলিগুড়ির রাস্তাও ঠিক কড়া হবে। খড়গপুর ও বিজয়ওয়াড়া করিডর ঘোষণা হয়েছে। এখানে রেলওয়ে গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি খরচ হবে।
অন্যদিকে কৃষক ইস্যুতে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য, ২৫ লাখ কৃষক আবেদন করেছিল। কিন্তু এই সরকার মাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম খুঁজে পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ৬ হাজার কৃষককে টাকাও পাঠানো যাচ্ছে না। তৃণমূল সরকার এই কৃষকদের ব্যাঙ্কের তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়নি। মা-মাটি-মানুষের সংবেদনহীনতা বাংলার মানুষ দেখছে। কৃষকদের নাম করে রাজনৈতিক করা হচ্ছে।