জেলে সাজা কাটাতে গিয়ে প্রেম, অবশেষে নিজের আইনজীবীকেই বিয়ে করেছিলেন এই ক্রিকেটার
২০১৬ সালে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আমির। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তন তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে সহায়তা করেনি। পাকিস্তান ক্রিকেটে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তৎকালীন বিধ্বংসী পেসার মোহাম্মদ আমির।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির আজকাল তুমুল আলোচনায় রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার চোখে পড়েছেন। আসলে মোহাম্মদ আমির এবং তার সহধর্মীনির প্রেমের কাহিনী নিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত। মোহাম্মদ আমির ও তার স্ত্রী নার্গিস খানের প্রেম কাহিনী খুবই মজার। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে ২০১০ সালে কারাবন্দি হয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। তখন নিজের পক্ষের উকিল খুঁজতে শুরু করেন তিনি। আর অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে আমিরের মামলা লড়ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নার্গিস খান।
পরবর্তীতে ওই ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে জীবন কাটানোর ব্রত নেন মোহাম্মদ আমির। আসলে মামলা লড়তে গিয়ে নার্গিস খান ও মোহাম্মদ আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আমির। নিজের উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ২০১৬ সালে মোহাম্মদ আমির নার্গিস খানকে বিয়ে করেন।
এরপর ওই বছরেই অর্থাৎ ২০১৬ সালে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আমির। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তন তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে সহায়তা করেনি। পাকিস্তান ক্রিকেটে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তৎকালীন বিধ্বংসী পেসার মোহাম্মদ আমির। বর্তমানে মোহাম্মদ আমির তার স্ত্রীর সাথে সংযুক্তি রেখে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে বর্তমানে প্রাক্তন এই পাক ক্রিকেটার ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।