শুভেন্দু অধিকারীর যোগদানের পরে আগামি বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে কোমড় বেঁধে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রায় প্রত্যেক সভায় তারা শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগা শুরু করেছেন। বর্তমানে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে একজন হলেন মুকুল রায়। আজকে বিকেলে মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দুজনের মধ্যে প্রায় আধঘন্টা ধরে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় দাবি করেছেন এটি সম্পূর্ণরূপে একটি সৌজন্য সাক্ষাতকার ছিল।
মুকুল বলেছেন,”শুভেন্দু গণ আন্দোলনের ফসল। ওকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের কেবলমাত্র দূরত্ব ছিল রাজনৈতিক কারণে। আমি বিজেপি তে ছিলাম আর ও তৃণমূলে। এখন একই দলে আছি। ও মনে করেছে, যাই মুকুলদা র সাথে দেখা করে আসি। এটা নিছক একটি সৌজন্য সাক্ষাতকার।” শুধুমাত্র মুকুল নয়, শুভেন্দু জানিয়েছেন, একই দলে আছেন, এই কারণে তিনি দেখা করতে এসেছেন।
তবে এটাকে স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাতকার হিসেবে গণ্য করতে রাজি নয় সাংবাদিকদের একাংশ। প্রসঙ্গত কাঁথিতে শুভেন্দুর এলাকাতেই দিন সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় শুভেন্দু অধিকারী কে নিশানা করে সৌগত রায় বলেছেন, ও হলো গিয়ে মীরজাফর। যার উত্তরে মুকুল রায় এদিন বলেছেন,”এর আগেও কাঁথিতে একাধিকবার শুভেন্দুকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে। সফল হয়নি।” শুধুমাত্র মুকুল না, শীলভদ্র দত্ত এই নিয়ে সৌগত রায়কে কটাক্ষ করেছেন। তার বক্তব্য,”বয়স হলে মানুষ অনেক কথা ভুলে যায়। সৌগত দার বয়স হয়েছে।”
তবে আরেকদিকে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে সরাসরি বিজেপি কে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তারি চ্যালেঞ্জের পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাসের সুরে সুর মিলিয়ে মুকুল রায় এদিন বললেন,” অমিত শাহ এর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০ টা আসনও পাবে না।”