নীতা আম্বানি (Neeta Ambani)-র জীবন বরাবর এতটা বিলাসবহুল ছিল না।অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে নীতা। আম্বানি পরিবারে বিয়ে হওয়ার পরেও তাঁকে দেখা যেত না জনসমক্ষে। অন্দরমহলে থাকতেন নীতা। একদিকে যখন বলিউড তারকা টিনা মুনিম (Tina Munim) আম্বানি পরিবার বিয়ের পর পার্টি করতে মত্ত, নীতা একাই সামলাতেন ঘরকন্না। সেই সময় নীতা সঠিক ইংরাজি বলতে পারতেন না। ফ্যাশনেবল পোশাকও পরতেন না তিনি। ফলে টিনা তাঁকে যথেষ্ট হেয় করতেন। কিন্তু ধীরুভাই আম্বানি (Dhirubhai Ambani)-র মৃত্যুর পর রিলায়েন্স সাম্রাজ্য মুকেশ (Mukesh Ambani) ও অনিল (Anil Ambani)-র মধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মুকেশ কোনোদিনই মানতে পারেননি স্ত্রীর অসম্মান। ফলে নীতাকে গ্রুম করতে শুরু করেন তিনি।
ধীরে ধীরে জনসমক্ষে আসতে শুরু করেন নীতা। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি পাশ্চাত্য পোশাক পরতে শুরু করেন তিনি। বদলে যায় তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট। ‘মুম্বই ইন্ডিয়ানস’-এর মালকিন নীতা। ফলে আইপিএলের সময় গ্যালারিতে দেখা মেলে তাঁর। জিনস ও টি-শার্ট পরে দলকে চিয়ার আপ করেন তিনি। নীতার অফুরান এনার্জির যোগান উৎস হল চা। কফি বা অন্য কোনো রকম পানীয় পছন্দ করেন না নীতা। তিনি চা পান করতে পছন্দ করেন। অ্যান্টিলার অন্দরমহলে তাঁর সকাল হয় ‘নরিটেক’ নামে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের চায়ের মাধ্যমে।
এই ব্র্যান্ডের চায়ের দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকা। প্রতিদিন নীতা যে কাপে চা পান করেন তা যথেষ্ট দামি। এই টি-সেটটি জাপান থেকে তৈরি করিয়ে এনেছিলেন নীতা। জাপানের একটি নামী ব্র্যান্ডের তৈরি কাস্টমাইজড টি-সেটের বর্ডারে ব্যবহার করা হয়েছে বাইশ ক্যারেট সোনা। সাধারণতঃ এই টি-সেটটি পঞ্চাশ পিসের কম সংখ্যায় নিতে পারেন না ক্রেতারা। নীতাকেও এই নিয়ম অনুসরণ করতে হয়েছে। টি-সেটটির পঞ্চাশ পিসের দাম ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় দেড় কোটি টাকা। নীতা সাধারণতঃ এই টি-সেটটি পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবহার করেন।