কৌশিক পোল্ল্যে: এবারের ঈদটা খুব আড়ম্বরহীন ভাবেই পালিত হল। প্রতি বছরের মতো মতো প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে সকলের কোলাকুলি কিংবা নাখোদা মসজিদে সকলে একসঙ্গে বসে ঈশ্বরের আরধনা করা সবটাই বাদ পড়ে গেল। বন্ধ জমায়েতে একে অপরের বাড়িতে গিয়ে শাহী ভোজ খাওয়ার প্রোগ্রামটুকুও বাতিল করতে হল। একেই করোনা তার উপর ‘আমফান’। চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে বঙ্গবাসী।
স্টুডিওপাড়াতেও নেই কোনো কাজ, শিল্পী থেকে টেকনিশিয়ান প্রত্যেকেই প্রায় দু মাসের বেতনি পাননি, যেহেতু কাজ বন্ধ। অর্থাভাবে সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। ঈদের সময়ই বেশ কিছু বড়সড় হিট বাঁধা থাকে প্রতিবছরই কিন্তু এবার বন্ধ প্রেক্ষাগৃহে ঘোর বিপাকে হল মালিকরা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এসব মন খারাপের মাঝেও বাংলার মুসলিমদের কাছে একটা আবেগের জায়গা এই ঈদ। এবার এক অন্যরকম ঈদ উদযাপনের সাক্ষী থাকলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
তার বসিরহাট এলাকায় যথাসাধ্য ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি ঘরোয়া ঈদ পালনে এবার জাঁকজমক খানিক কমই রাখলেন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। তবে আল্লাহর কাছে তার প্রার্থনা ছিল একটাই, এই চরম বিপদের মুহূর্ত থেকে মানুষ যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এক নতুন দিন, এক নতুন সূর্যের সাক্ষী হতে পারে। নিরাপদ পরিবেশে মুক্তমনা হয়ে চলাফেলা করতে পারে। সকলের মঙ্গলকামনায় ঈশ্বরের কাছে এটাই নুসরতের চাওয়া।
এসবের পাশাপাশি সাংসদ হিসেবেও একটা বাড়তি দায়িত্ব তো থেকেই যায়। ‘আমফান’-এ ক্ষতিগ্রস্ত বসিরহাটবাসীকে সবরকম প্রশাসনিক সাহায্য দিতে প্রস্তুত তিনি। এবারের মন কেমনের ঈদে সকলের সুস্থতা কামনা করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রার্থনায় নুসরত। তাই প্রতিবারের স্পেশাল বিরিয়ানি আইটেমটিও এবার বন্ধই রইল।
Visited worst-hit areas of my Constituency Basirhat today & met people put up in Shelter Homes at Minakhan & Haroa.
We are all together in this.
We need to take proper precautions to prevent CORONA & fight this natural disaster caused by Amphan.
We shall overcome!#PrayForBengal pic.twitter.com/lwRbiRT3o1— Nusrat (@nusratchirps) May 22, 2020