কৌশিক পোল্ল্যে: গতকাল ‘আমফান’ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘবৈঠকের পর রাজ্যকে আর্থিক সাহায্যসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বাংলার দুর্দিনে তার তৎকালীন আগমনে ও দ্রুত পদক্ষেপে উচ্ছসিত মন্ত্রীমহল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে, বৈদ্যুতিক পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এমন এলাকাগুলিতেও পরিষেবা দ্রুত চালু করার কাজ চলছে।
গতকাল মন্ত্রীবৈঠকে মোদীকে যোগদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখরা। বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান এদিন তার স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে মন্ত্রীবৈঠকে আসেন কিন্তু ঢোকার পূর্বেই তিনি পড়লেন ঘোর বিপাকে। তাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন না নিরাপত্তারক্ষীর কর্মীরা।
এসপিজি( স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) এর সদস্যরা তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী। তাদের সঙ্গে দু-এক দফা কথা বলে নেওয়ার পরও সাংসদকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেননি এই দল, ফলে রেগে গিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান রুহি জৈন।
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’এ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের বর্তমান অবস্থা সরজমিনে খতিয়ে দেখতেই মোদীর আগমন। এদিন আকাশপথে পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি, সঙ্গী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বসিরহাট কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয় এবং ওই কলেজের ভিতরই মন্ত্রীবৈঠকের যাবতীয় আয়োজন করা হয়। এমত অবস্থায় এলাকার সাংসদকেই মোদীবৈঠকে অংশগ্রহন করা থেকে বঞ্চিত হতে হল। উক্ত এলাকার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার কার্যক্রমটি একপ্রকার স্থগিত রাখতে হল নুসরতকে।