মাত্র ২৪ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ২০’শে নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একমাস অতিক্রান্ত। ঐন্দ্রিলাহীন তার গোটা পরিবার ও অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। গত একমাস ধরে বহু চেষ্টা করেও অভিনেতার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা নিজেদের দুঃখ কষ্ট উজাড় করে দিয়েছেন মিডিয়ার সামনেই। মেয়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তারের গাফিলতির কথাও সোনা গিয়েছে অভিনেত্রীর মার মুখেই।
ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রয়াণের পর তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা গেলেও সারা মেলেনি সব্যসাচী চৌধুরীর। নিজের সবথেকে কাছের ও ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলে নীরব সব্যসাচী। পরিস্থিতি ও সময়ের সাথে লড়াই করে নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টায় অভিনেতা। ঐন্দ্রিলাহীন একমাস সব্য। কেমন আছেন তিনি? কিছুতেই জানা যাচ্ছিল না। কোনভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না অভিনেতার সাথে। অবশ্য কেমনই বা থাকতে পারেন! সেকথা কমবেশি আন্দাজ করতে পারেন সকলেই।
তবে খুব সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে ঐন্দ্রিলার সব্যর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার অল্প হলেও সারা মিলেছে ওপার থেকে। শুধু এক বাক্য জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কিছুটা ঠিক আছেন তিনি। তবে তার কথা শুনে এটুকু বোঝা গিয়েছে ঠিক থাকার চেষ্টায় রয়েছেন অভিনেতা। পাশাপাশি এও স্পষ্ট কথায় বলে দিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে তিনি কোনরকম কোন কথা বলতে আগ্রহী নন।
কয়েকদিন আগে অভিনেত্রীর মা অভিনেতার সাথে ঐন্দ্রিলার একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছিলেন নিজের ফেসবুকের পাতায়। সেটি ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য ছিল। ক্যাপশনে লেখা ছিল, সব্যর ঐন্দ্রিলা। এই ছবি আবেগপ্রবণ করেছে সকলকেই। জানা গেছে, ২০২৩’এই একে অপরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধবেন বলেই ঠিক করেছিলেন তারা। তবে শেষপর্যন্ত তা আর সম্ভব হল না। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরেই আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সব্যসাচী চৌধুরীর পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার গোটা পরিবার।