খাদ্য অভাবে এমনিতেই সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে পুরো পাকিস্তান। সামান্য আটার জন্য জীবন চলে যাচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। আর এই সংকটের মধ্যে সন্ত্রাস হামলা ঘটলো পাকিস্তানের মাটিতে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে। জানা গিয়েছে, একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে স্টেডিয়ামের অদূরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পাকিস্তান সুপার লিগ শুরু হওয়ার আগে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলছিলেন বাবর আজমরা। আর তারই মাঝে ভয়ংকার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে স্টেডিয়াম থেকে কয়েক মাইল দূরে।
জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণের ফলে আকাশ কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। পাশাপাশি ভয়ংকর বিস্ফোরণে ৫ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার চারপাশ পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে পাকিস্তান সরকার। বোমা বিস্ফোরণের পর তড়িঘড়ি করে বাবর আজমদের ড্রেসিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রদর্শনী ম্যাচটি বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা।
এদিকে রোববার এক বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানে হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। প্রথমে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ কন্ট্রোলের মধ্যে।
তবে এশিয়া কাপের পূর্বে পাকিস্তানের মাটিতে বোমা বিস্ফোরণ পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ চলতি বছর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপের মেগা আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পাকিস্তানে সেই টুর্নামেন্ট না করানোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।