অবাক কান্ড বাংলা ধারাবাহিকে, চরম সমালোচনার তোপে ‘কৃষ্ণকলি’
ভাবা যায় প্রথমে হলো স্ক্রাবার এরপর এলো মুখোশ চেঞ্জ! বাথরুম স্ক্রাবার দিয়ে রোগীকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার পর্ব হয়তো আপনারা ইতিমধ্যে বেশ উপভোগ করেছেন, এবার সেই গাঁজাখোরি পর্বে যোগ হয়েছে অশোক ওরফে ভিভান ঘোষ। যারা সন্ধ্যেবেলা চা মুড়ি নিয়ে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিক দেখতে বসে যান সেখানেই ঘটেছে এমন চমৎকার ঘটনা।
যেখানে অশোক তাঁর বড় ভাই অরুনকে শেষ করে দেবার জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যে ভাই নিখিলের মুখশ পড়ে নেয় এবং নিখিলের ছদ্দবেশে অরুনকে গলা চিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। না না চিত্রনাট্য ঠিক আছে কিন্তু, কয়েক মিনিটের মধ্যে কিভাবে মুখোশ পরিবর্তন সম্ভব এই নিয়ে দর্শকরা বেশ কৌতূহলী।
শুধু কৌতূহল নয়, অশোক অর্থাৎ অভিনেতা ভিভান ঘোষ এবং নিখিল অর্থাৎ নীল ভট্টাচার্যকে নিয়ে ট্রোলের অন্ত নেই। যদিও যিনি এই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য লিখেছেন এই দ্বায়টা তাকেই নিতে হয়, কিন্তু সমালোচকরা অভিনেতাদের উপরেই আঙ্গুল তুলেছে। তাদের বক্তব্য, এখনকার যুগের ছেলে হয়ে এমন চিত্রনাট্যে কি করে কাজ করতে রাজি হন এনারা।
তবে, এখনো পর্যন্ত জি বাংলার কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে নিখিল ও শ্যামার চরিত্র এখন দর্শকদের ভীষণ প্রিয়। কিন্তু এর মাঝে বাঁধ সাধলো প্রথমে স্ক্রাবার আর পরে প্লাস্টিক সার্জারির খেল। টিআরপি র জোরে এগিয়ে থাকার জন্য চিত্রনাট্যে ক্লাইম্যাক্স আনার জন্য নির্দেশকরা একের পর এক গল্পের মোড় ঘোরাচ্ছেন। অবশ্য, প্লাস্টিক সার্জারি যে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের খেল তা দর্শকরা নতুন করে জানলো। ঠিক এই কারণে, নিখিল ও অশোক আরো একবার ট্রোলিংয়ের শিকার হলেন।