দেশজুড়ে কৃষকরা এখন একটাই প্রশ্ন ঘিরে কৌতূহলী—কবে আসবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার ২১তম কিস্তি? প্রতি বছর তিন কিস্তিতে ₹৬,০০০ টাকার সহায়তা পাওয়া গেলেও, এবারের অর্থপ্রদানের তারিখ নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত ২০তম কিস্তি প্রকাশের পর থেকে নতুন কিস্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন কৃষকরা।
২০তম কিস্তি বিতরণ
গত ২ আগস্ট ২০২৫-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসী থেকে ২০তম কিস্তি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠান। সেই সময় প্রায় ৯.৭১ কোটি কৃষকের হাতে পৌঁছেছিল মোট ২০,৫০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ। শুধু বিহার রাজ্যেরই প্রায় ৭৫ লক্ষ কৃষক এর সুবিধা পান। এই ধারাবাহিকতায় এবার ২১তম কিস্তি প্রকাশ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
কখন আসতে পারে ২১তম কিস্তি?
চলতি বছরে দীপাবলি পড়েছে ২০ অক্টোবর। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে নতুন কিস্তি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, দীপাবলির আগে অর্থাৎ অক্টোবরের শুরু বা মাঝামাঝি সময়েই এই কিস্তি মুক্তি পেতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করেনি।
বিহার নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রভাব
রাজনৈতিক মহলে শোরগোল উঠেছে যে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলও এই তারিখ ঘোষণার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ভোটের তারিখ ঘোষণা করতে পারে। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগে সরকার কিস্তি প্রকাশ করতে পারে, যাতে কৃষকরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই টাকা পান।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
ভারত সরকারের এই প্রকল্প কৃষকদের ন্যূনতম আয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতি বছর তিন কিস্তিতে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হয় ৬,০০০। প্রত্যেক কিস্তিতে ২,০০০ করে দেওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২০টি কিস্তি প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
কারা বঞ্চিত হতে পারেন?
যদিও অনেক কৃষক নিয়মিত কিস্তি পান, তবু কিছু ক্ষেত্রে টাকা আটকে যেতে পারে। যেমন—
ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ না করলে,
আধার নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক না করলে,
জমি যাচাইকরণ অসম্পূর্ণ থাকলে।
যদি কোনও কৃষক নিজের কিস্তি এসেছে কিনা তা যাচাই করতে চান, তবে কৃষক কর্নারে গিয়ে সুবিধাভোগীর অবস্থা (Beneficiary Status) চেক করতে হবে। সেখানে আধার নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নিজের নাম ও পুরো গ্রামের তালিকা দেখা যাবে।
কৃষকদের প্রত্যাশা
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। দীপাবলির আগে এই অর্থপ্রদান কৃষকদের উৎসবকে আরও আনন্দময় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার যদি অক্টোবরের শুরুতেই কিস্তি মুক্তি দেয়, তাহলে তা হবে কৃষকদের জন্য বড় উপহার।














