শোভনের কেন্দ্রে প্রার্থী রত্না, এবারের নির্বাচনে বাংলা দেখবে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
বেহালা পূর্ব আসনে বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তারই বিরুদ্ধে বেহালা পুর্ব আসনের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এবারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিতে চলেছে। শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সমগ্র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বেহালা পূর্ব আসনে বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তারই বিরুদ্ধে বেহালা পুর্ব আসনের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এখনো পর্যন্ত স্থির হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ওই আসনে দাঁড়াবেন কিনা।
২০১৯ সালে ১৪ আগস্টে যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে বিজেপি তে যোগদান করেন, তারপর থেকেই বেহালার এক দলীয় অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রত্না চ্যাটার্জী কে তার স্বামীর ফেলে যাওয়া দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে বলেন। কিন্তু আবারসেই বছর বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে আসেন তখন সমীকরণের কিছুটা বদল ঘটে। সেই সময় গুঞ্জন উঠেছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি আবার তৃণমূলকে ফিরতে চলেছেন। পাশাপাশি শোভন এবং বৈশাখী শর্ত দিয়েছিলেন, রত্নাকে দেওয়া সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমগ্র তালিকা প্রকাশ করছিলেন তখন থেকেই রত্না চট্টোপাধ্যায় এর নাম উঠে আসছিল বেহালা পূর্ব আসনের জন্য। নাম প্রকাশের পর রত্না স্বামী শোভনের কেন্দ্রে দাঁড়াতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এবারে বিজেপি যদি বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায় কে প্রার্থী করে তাহলে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে দেখা যাবে সরাসরি গৃহযুদ্ধ। যদিও এই নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি রত্না চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে বেহালা পশ্চিমে দাঁড়াতে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদি বিজেপি বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায় কে প্রার্থী করে, তাহলে সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে দেখা যাবে রত্না চট্টোপাধ্যায় কে। পারিবারিক সমস্যার জেরে শোভন যখন মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের বহুতলে গিয়ে ওঠেন তখন তিনি বেহালা পুর্ব আসনের বিধায়ক ছিলেন। তারপর স্বামীর ফেলে যাওয়া দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে করোনা সংক্রমনের সময় রত্নাকে আবার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস।