সোমবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এনসিবির অফিসে পৌঁছে যান রিয়া চক্রবর্তী। অন্যদিকে, সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে সোমবার সকালেই মেডিকেল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। ঠিক এখানেই বিস্ফরন ঘটান রিয়া চক্রবর্তী। তিনি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে জানিয়েছেন যে সুশান্ত সিং রাজপুতের মাদকের নেশা ছিল। সপ্তাহে এক থেকে দুবার তিনি সিগারেটের মধ্যে মাদক মিশিয়ে নেশা করতেন। এমনকি সুশান্তই নিজে তাঁর ভাইকে ব্যবহার করত। স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং সৌভিক চক্রবর্তীকে তিনি মাদক নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেন। নিতান্ত ভালোবাসার টানে রিয়া নিজেও কয়েকবার সুশান্তের জন্য মাদক আনিয়েছিলেন স্যামুয়েল ও মিরান্ডাকে সঙ্গে করে।
রিয়া চক্রবর্তীকে তাঁর ভাইয়ের নেশার ব্যপারে জিগেশ করলে তিনি জানান,সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডা মাদকের নেশা করতেন কি না, সে বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তবে সৌভিক এবং স্যামুয়েলের বেশ কয়েকজন পরিচিত রয়েছেন যাঁরা সুশান্তের জন্য মাদকের ব্যবস্থা করে দিতেন বলে দাবি করেন রিয়া। প্রসঙ্গত, ভাই সৌভিকের সঙ্গে ১৭ মার্চ মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা জেরার মুখে স্বীকার করে নেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, জায়েদের কাছ থেকে মাদক কিনতেন এই অভিনেত্রী এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বলিউডের একাধিক প্রথম সারির সেলিব্রিটির নামও প্রকাশ্যে এনেছেন রিয়া। যদিও এই নামগুলি প্রকাশ্যে আনেননি এনসিবি-র আধিকারিকরা।
কাহিনী এখানেই শেষ নয়, দীপেশ সাওয়ান্ত এবং স্যামুয়েল মিরান্ডা দাবি করেন যে মৃত্যুর আগে সুশান্তের বাগান বাড়িতে একটি প্রাইভেট পার্টির আয়োজন করা হয়। বলিউডের একাধিক সেলেব সেখানে হাজির হন। এমনকি, সুশান্তের বাগান বাড়ির ওই ব্যক্তিগত পার্টিতে মাদকের আসর বসে।