সুশান্ত কেসে উঠে আসছে একের পর এক চমক। নেশা, প্রেম, টাকা নয় ছয় থেকে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে প্রতিদিন। সিবিআই, ইডি, এবং এনসিবি জোট বেধে নেমে পড়েছে এই তদন্তে। আর এরপরেই খুলছে একের পর এক জট। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই স্যামুয়েলের বাড়িতে তল্লাসি চালানোর পরই শুক্রবার সকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করা হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্স অ্যাক্ট ১৯৯৫-এর ধারায় আটক করা হয় স্যামুয়েল মিরান্ডাকে ।
এর আগে তিন ড্রাগ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে এনসিবি, এরপরেই স্যামুয়েলের বাড়িতে আচমকাই তল্লাসি চালায় এনসিবি মুম্বাই পুলিশ সহ। বাজেয়াপ্ত করা হয় স্যামুয়েলের সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম এবং তাঁর গোপন সবরকম নথিও ছয়েক করা হয়। অন্যদিকে স্যামুয়েলের পাশাপাশি সৌভিকের উপর কড়া নজরদারি আজ সকাল থেকেই চালিয়েছে এনসিবি। সৌভিক রিয়ার একাধিক চ্যাট প্রকাশ হয়েছে। প্রত্যেকটি মেসেজ থেকে একথা স্পষ্ট যে এই দুই ভাই বোন মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
শুক্রবার সকালে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক গেজেট খতিয়ে দেখে এনসিবি। রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে একাধিক ইলেক্ট্রনিক গেজেট খুঁটিয়ে পরীক্ষার পর সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় মাদক যোগ খতিয়ে দেখতে গিয়েই উঠে আসে সৌভিক সরাসরি মাদক লেনদেন করতেন এবং এই ব্যপারে রিয়াও সরসরি যুক্ত। ঠিক এরপরেই রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে নিজেদের সঙ্গে অফিসে তুলে নিয়ে যান নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা। মুখোমুখি বসান হতে পারে স্যামুয়েল রিয়া ও সৌভিককে। যদিও সৌভিককে গ্রেফতারির কোনও খবর নেই। তবুও এক কঠিন জেরার সম্মুখীন হতে চলেছে এই তিন মাথা। প্রসঙ্গত, রিয়া চক্রবর্তী বারবার বলেছেন তিনি কোনরকম মাদক সেবন করেন না এবং রিয়ার আইনজীবীও জানান যে তাঁর ক্লাইন্ট কখনো মাদক সেবন করেননি। কিন্তু তথ্য বলছে অন্য কথা। আর সেই এভিডেন্সকে কেন্দ্র করেই রিয়া ও সৌভিককে জেরার জন্য তুলে নিয়ে যায় এনসিবি।