নন্দীগ্রামে নিজের ক্ষমতা প্রমানের উদ্দেশ্যে এবং শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এর জন্য ছেড়ে গেলেন তার সাধের আসন ভবানীপুর। কিন্তু ভবানীপুর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না দাঁড়ালেও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বেশ ভালো ক্যান্ডিডেট। তারপর ভবানীপুরের মত আসনে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বেশ ভালোই। তাই এই আসনে বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল।
অবশেষে, সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভবানীপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী কে হচ্ছেন। এবারে ভবানীপুর আসনে বিজেপির হয়ে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করবেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রুদ্রনীল ঘোষ এবারের বিজেপির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল তিনি শিবপুর আসন থেকে লড়াই করবেন। কিন্তু শিবপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী করল রথীন চক্রবর্তী কে। আর ভবানীপুরের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল রুদ্রনীলের কাধে।
রুদ্রনীল জানালেন, “দায়িত্ববোধ এবং সচেতনতা বাড়লো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক এর উপরে বীতশ্রদ্ধ হতে শুরু করেছিলেন ভবানীপুরের মানুষ। আমি বলব আমি কর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য যেকোনো জায়গায় কাজ করতে পারি। যেকোনো কাজ চ্যালেঞ্জিং। ওরা বলছে শুধু খেলা হবে। আর আমরা বলছি হাসপাতাল হবে, চাকরি হবে, ব্যবসা হবে, পরিবর্তন হবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছিলেন, ভবানীপুর আসন থেকে তিনি জিততে পারবেন না। তাই অপেক্ষাকৃত সেফ সিট নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হলেন এবারের নির্বাচনে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। অমিত শাহ এর হাত থেকে তিনি বিজেপির ব্যাটন নিজের হাতে নেন। গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পরে তার প্রার্থী পথে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। অনেকে তো সুবিধাবাদী তকমা দিয়েছেন। এর আগেও দল পরিবর্তনের নজির আছে রুদ্রনীল এর কাছে। এই কারণেই মূলত বিজেপিতে যোগদানের পরে তাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত কটাক্ষের যোগ্য জবাব দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তত বিজেপির এই তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।