ক্রিকেটারদের জীবনের সাথে সাধারণ মানুষের জীবনের পার্থক্য যে অনেকটাই সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারোরই। একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন আর ক্যারিয়ার এক দিশায় চলতে শুরু করে। ব্যক্তিগত জীবন নিজের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়, বিভিন্ন সময় এমনটা উল্লেখ করেছেন ক্রিকেটাররা। বলতে গেলে তাদের ব্যক্তিগত জীবন হয়ে দাঁড়ায় গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চাহিদার অনুকরনে। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হলেও ক্রিকেট ব্যক্তিগত সত্তাকে হত্যা করে ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রিকেটাররা।
এবার সেই জুতোতে পা গলালেন মহেন্দ্র সিং ধোনির পত্নি সাক্ষী ধোনি। ২০১০ সালের ৪ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন এমএস ধোনি ও সাক্ষী। দেখতে দেখেত দাম্পত্য জীবনের ১২ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন তাঁরা। ক্রিকেট জগতের সবচেয়ে আলোচিত জুটির মধ্যে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সাক্ষী ধোনি। বিয়ের পর থেকে সাক্ষী চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির থেকেছেন। এই প্রথমবার কোন ক্রিকেটারের স্ত্রী সরাসরি তাদের বিবাহিত জীবনের বিরম্বনা তুলে ধরলেন।
এদিন সাক্ষী ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন,”একজন ক্রিকেটারের স্ত্রী হওয়া যে কোন নারীর জন্য খুবই গর্বের বিষয়। কারণ তাদের স্বামী কোটি কোটি ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তারা তাদের নিজের যোগ্যতায় এমন উচ্চতায় পৌঁছেছেন। তারা এমন একটি খেলার সাথে যুক্ত, যে খেলাটি ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত ভালোবাসার। তবে ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে থেকে তাদের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসে, যেগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়।”
সাক্ষী ধোনির মতে, ক্রিকেটারদের স্ত্রী হিসেবে ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বিরম্বনার শিকার হতে হয় আমাদের। ক্যামেরার সামনে এবং ক্যামেরার বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত জীবন একই রুটিনে চলতে থাকে। যে বিষয়টি হয়তো অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ক্রিকেটারদের স্ত্রীকে সর্বদা অন্যভাবে বিচার করা হয়। ক্রিকেটারদের স্ত্রী-রা যদি তার প্রিয় কোন বন্ধুর সাথে ক্যামেরাবন্দি হন, তাহলে একাধিক প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় তাদের।”