অল্প রান হলেও মাঘ মাসে এখনও চলছে শীতের খেলা। তবে বিধানসভা নির্বাচনী উত্তাপ অনুভব করতে পারছেন বাংলার সকলেই। এমন অবস্থায় শাসক বিরোধী উভয়ের মাঝে বাড়ছে বাক তরজার ঝাঁজ। ভোটযুধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। শেষ পর্যন্ত কে বাংলা দখল করবে, তা নিয়ে চলছে ঘাস ফুল এবং পদ্ম ফুলের শিবিরে জোর তরজা। আর তারই মাঝে কেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপি সরকার আসবে বলেই আশাবাদী বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে এক গুচ্ছ কর্মসূচি ছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সকাল থেকে কৃষি আইনের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি। তারপরে বেশ কিছু জন কৃষকের বাড়িতে চাল সংগ্রহ করেন তিনি। জনসভার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন। স্বাস্থ্য সাথীর সাথে রাজ্যের সমস্ত জনদরদি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কোনও ভাবে উপকৃত হচ্ছেন না বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা। ভোটের মুখে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে হাতিয়ার করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও ভাবেই উপকৃত হচ্ছেন না সাধারণ জনতা।
গত ১৮ জানুয়ারি শুভেন্দু গড়ে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই সভামঞ্চ থেকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তারপর থেকে বারবার এই ইস্যুতে মমতাকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবারের জনসভা থেকে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। তার বক্তব্য, “আপনি শুধু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ান। কীভাবে হারাতে হয় জানি। নিজেই হারাবো। ১৪টি এলাকায় ভোকাট্টা করতে তৈরি। এখানে আমাদের শিকড় গভীরে।” নন্দীগ্রামে সভার প্রসঙ্গেও মমতাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বিজেপি নেতার দাবি, “ভোট এসেছে বলে নন্দীগ্রামে এসেছেন। ৫ বছর অন্তর মনে পড়ে মাননীয়ার।” একই ভঙ্গিমায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সদ্য বিজেপি নেতা। আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করে কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই সরকার গঠনের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু।