কৌশিক পোল্ল্যে: সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণের পর তিনদিন কেটে গেলেও তার মৃত্যু নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। অভিনেতার মৃত্যুতে শেখর কাপুর ট্যুইটারে তির্যক ট্যুইট মারফত বলিপাড়ার অন্দরের কূটনীতিকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। অন্যদিকে নেপোটিজম নিয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ভিডিও সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। এবার এই একই ইস্যুতে সহমত পোষণ করলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সঞ্জয় নিরুপম।
তিনি বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রির অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল প্রয়াত অভিনেতাকে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ২০১৯ এ ‘ছিঁছোড়ে’ বক্সঅফিসে সফল হওয়ার পর অভিনেতা পরপরই আরও সাতটি ছবির অফার পান। কিন্তু বিগত ছয় মাসে সেই সাতটি ছবিই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সুশান্তের। এর পিছনে ফিল্মসিটির কূটনৈতিক চিন্তাভাবনাকেই দুষলেন নিরুপম। যদিও সেই সাতটি সিনেমার নাম তিনি উল্লেখ করেননি।
সোমবার অভিনেতার শেষযাত্রায় বলিপাড়ার কোনো প্রথম সারির সেলিব্রিটিকে সেভাবে দেখা যায়নি। কৃতি শ্যানন, শ্রদ্ধা কাপুর, রাজকুমার রাও, বিবেক ওবেরয় ও পরিচালক অভিষেক কাপুর সুশান্তের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এবং সেই সঙ্গে সঞ্জয় নিরুপমকেও আসতে দেখা যায়। শোকে এবং ক্ষোভে নিরুপম জানান, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নিষ্ঠুরতা দিনকে দিন অন্য পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যা একজন প্রতিভাবান শিল্পীর জীবনকেও শেষ করে দিতে পারে।
স্টুডিওপাড়ায় সেভাবে কারও সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলনা সুশান্তের যেহেতু তিনি একজন আউটসাইডার ছিলেন। এই কারণেই বিগত কয়েক মাসে একাকীত্ব ও মানসিক অবসাদের শিকার হন প্রাণবন্ত এই বছর চৌত্রিশের অভিনেতা। অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এহেন নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই মর্মে নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ হয়ে করণ জোহর ও আলিয়া ভাটের শোকবার্তাকে ‘কুমিরের কান্না’ অভিহিত করে তাদের নিয়ে যথেষ্ট ট্রোল করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ করণ জোহারের বিখ্যাত চ্যাট শোতে কোনো দিনের জন্য আমন্ত্রণ পাননি সুশান্ত। পরিচালকের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে পাটনাতে।