সম্প্রতি নন্দীগ্রাম দিবসে ‘অরাজনৈতিক সভা’ করেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার ঠিক পরদিন অর্থাৎ আজ তার ঘনিষ্ঠ তিনজন নেতার সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল নবান্ন। এই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। এছাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে নন্দীগ্রামের নেতা আবু তাহেব এবং মেঘনাথ পালের ও। দুইজনই শুভেন্দু অধিকারীর খুব ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে সূত্র হতে। মঙ্গলবারের শুভেন্দুর সভার প্রধান আয়োজক ছিলেন তারা। এই বিষ্যটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে এইদিন মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা মোসারফ হোসেন। রাজ্যপালের জগদীপ ধনখড়ের মতে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে আবু তাহেব এইদিন বলেন,”এটা আম্র জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি বিষয়। আমি এখনও তৃণমূলের সৈনিক। আমি তৃণমূলের হয়ে লড়াই করি। শুভেন্দু অধিকারী এখনও দল ছাড়েননি। দল থেকে বহিষ্কার ও করা হয়নি তাকে। আমি বছরে কেবল ৪টি দিন BUPC করি। বাকি ৩৬১ দিন আমার হাতে দেখা যায় জোড়াফুলের ঝাণ্ডা।”
নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মোসারফ হোসেনের ও। বুধবার তথা আজ তিনি বলেন,”আমি জেলার সবাধিপতি। সারা দিন দলের হয়ে জেলার হয়ে কাজ ছুটে বেড়াতে হয় আমায়। এমন একজনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি বিষয়। তবে আমি জানি মানুষ আমার পাশে আছে। তারাই আমায় নিরাপত্তা দেবে। তবে এই বিষয়ে আমি রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।”
এইদিন এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লেখেন,” রাজনৈতিক চাপে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। নিরপত্তার ক্ষেত্রে রাজনীতি চলেনা। এর থেকে বোঝা যায় যে পুলিশ এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর কতটা অসাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবিত।”