দলের প্রতি এইদিন উগরে দিলেন ক্ষোভ। এইবার দলের নেতাদের ঋণ শোধ করতে দেখা গেল ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ শীলভদ্র দত্তকে। চিকিৎসার জন্য তৃণমূল নেতাদের থেকে যে টাকা নিয়েছিলেন , তা ফেরত দিতে শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাসের ২ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেন নেতা। তবে তা নেবেন না বলেছেন পার্থ ভৌমিক।
কিন্তু কি হয়েছিল সাংসদের? কেনই বা ধার করতে হয়েছিল এত টাকা? ২০১৯ সালে বিপুল টাকা খরচ হয় তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য। খরচ এতটাই বেশি ছিল যে ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতার থেকে টাকা নিয়েছিলেন সাংসদ। মোট নিয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা। এইবার সেই ঋণই মিটিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
কিন্তু এখন হঠাত কেন? কিছুদিন আগেই শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছিলেন যে গামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াবেন না তিনি। তিনি গুণগানও করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর। এছাড়া তাকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর কে। এইদিন শীলভদ্র ফেসবুকে লেখেন,’দমবন্ধ হয়ে আসছে’। এর পর থেকেই তৃণমূলের একাংশের কথা বলে আক্রমণ করেন শীলভদ্রকে। যে নেতারা টাকা দিয়েছেন, সেই দলই ছেড়ে দিতে চলেছেন শীলভদ্র। এমন কথাও উঠেছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে তাকে কেউ কিছু না বলে, সেই কথাও বলেছেন শীলভদ্র।
এই বিষয়ে শীলভদ্র বলেছেন,”ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস আমাকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। আমি সেই টাকা তাকে দিয়েছি। আগে আমি ২ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলাম। তিনি টাকার চেক নেননি। নিয়েছেন নগদ। আর পার্থ ভৌমিককেও ফোন করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলেছেন টাকা নেবেন না।” জানা গিয়েছে শীলভদ্র দত্ত ঋণ নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নারায়ণ গোস্বামীর সহ বেশ কিছু নেতা।