১২ বছরের বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে ভারতীয় তারকা টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। তারকা এই দম্পতির ইজহান মির্জা মালিক নামে একটি ছেলেও রয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে এবং কেবলমাত্র এটিকে অফিসিয়াল ঘোষণা করা বাকি আছে।
তবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে কারন কি তা নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনের মূল কারণ আয়েশা ওমর নামে একজন পাকিস্তানি মডেল। বেশ কিছুদিন পূর্বে শোয়েব মালিক ওই মডেলের সঙ্গে ফটোশুট করেছিলেন। সেই সময় আয়েশার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি। ফটোশুটের পাশাপাশি ওই মডেলের সাথে একটি টিভি শো-তে অংশগ্রহণ করেন শোয়েব মালিক।
সাহসী ফটোশুটের পরে শোয়েব মালিককে পাকিস্তানি এক টিভি চ্যানেলে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ফটোশুটে তার স্ত্রী সানিয়ার প্রতিক্রিয়া কী ছিল? তবে সেই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি শোয়েব মালিক। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে যে, সানিয়া মির্জা জানতে পেরেছেন শোয়েব মালিক তার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এরপর দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে দুজন একই বাড়িতে থাকা বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, সানিয়া এবং শোয়েব ১২ই এপ্রিল ২০১০ সালে হায়দরাবাদে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৮ সালে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন এই দম্পতি।
সূত্রের খবর, সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের ডিভোর্সের ফাইল তৈরি হয়ে গেছে। পরিবার সূত্রে খবর, কত কোটি টাকার বিনিময়ে সানিয়া মির্জা ডিভোর্স নেবেন তা নিয়ে বর্তমানে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে কোন পরিবারের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১০ সালে শোয়েব মালিক তার প্রথম স্ত্রী আয়েশাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।