বর্তমানে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর চলছে। আর এই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফায়দা নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দল ভেঙে গেলে বিজেপির জয়লাভ একপ্রকার নিশ্চিত বলা যেতে পারে। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সাথে মতবিরোধ ও তারপর অভিমানী বেচারাম মান্নার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল শিবিরে চরম অস্থিরতা এনেছে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছে যে তৃণমূলে আর কোন ভদ্রলোক থাকতে পারবে না। তৃণমূলে মুষলপর্ব চলছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের কথার জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা সৌগত বাবু। তিনি গত শুক্রবার জানান, “তৃণমূল একটা বড় দল। এরকম গণতান্ত্রিক দলে মতভেদ হতেই পারে। এত দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলার শাসনে আছে তৃণমূল সরকার। এর মাঝে কিছু দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মতভেদ অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু প্রত্যেক নেতাই দলের জন্য দায়বদ্ধ।”
প্রসঙ্গত গতকাল দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “তৃণমূলে মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরো দলটি আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। তাই এখন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিজেদের আবর্জনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।” এছাড়াও তিনি তৃণমূল বিক্ষুব্ধদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আগামী ভোটের আগেই বিজেপি বাংলায় তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য সংগঠন বাড়াচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে যাতে বাংলার বুকে যাতে পরিবর্তন হয়। তাই তিনি তৃণমূল বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে বলেছেন তারা চাইলে গেরুয়া শিবিরে চলে আসতে পারে।”
এরকমভাবে তৃণমূল বিক্ষুব্ধদের গেরুয়া শিবিরে আহবান করার কথার প্রসঙ্গ টেনে সৌগত বাবু বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেছেন, “এখন মুষলপর্ব নাম দিয়ে বিজেপি শিবির তৃণমূল দলকে ভাঙতে চাইছে। কারণ বিজেপি তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা চাইছে যাতে তৃণমূলের মধ্যে মতবিরোধ আরো বাড়ে।” এছাড়া সৌগত বাবু শুভেন্দু বেচারাম ইস্যুতেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুভেন্দু গতকাল যে বিবৃতি দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এছাড়া বেচারাম মান্না তার প্রতিবাদ তুলে নিয়েছে। দলের মধ্যে যেখানে অশান্তি হবে তা সামলানোর দায়িত্ব দল নিয়ে নেবে। বিজেপি শিবিরকে এই নিয়ে মাথা ঘামাতে বারণ করেছেন তিনি।