এইবার বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে তার ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ আনলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তথা আজ দলের রাজ্য দফতরে হওয়া এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেন বিজেপি নেতা। তার বক্তব্য, সেই কারণেই তিনি সরাসরি ফোনে দলীয় কর্মী ও সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেননি।
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে পাওয়া যায়না বলে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। তার সাথে যোগাযোগ করা কার্যত হয়ে উঠেছিল অসম্ভব। এই দিন সেই কারণে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার বক্তব্য,”যে ভাবে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে ফোনে নজরদারি চালনো হচ্ছিল তা ভাবা যায়না। ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে টেলিফনটিকে ব্যবহার করা হয়েছে।”
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাকে যখন কলকাতা জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন রাজ্যে ছিলেন না তিনি। তিনি ছিলেন রাজ্যের বাইরে। অনেক রাতে কলকাতায় ফেরেন নেতা। রাস্তায় তিনি জানতে পারেন যে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার নামের সাথে যে নম্বরটি দেওয়া ছিল, তা করা ছিল সাময়িক ভাবে বন্ধ। এইদিন বিজেপি নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান এই বার থেকে ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন দলীয় কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় বছর পর বিজেপির প্রকাশ্য কর্মসুচিতে দেখা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovan Chaterjee)এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Baishakhi Banerjee)। এইদিন গোলপার্ক থেকে সেলিমিপুর পর্ক্সন্ত রোড শো করেন শোভন-বৈশাখী। তার আগে বহিরাগত তত্ত্বকে নিয়ে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতার পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।