কৃষিমন্ত্রী থাকবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, যাচ্ছেন না রাজ্যসভায়
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার চিরাচরিত ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নন্দীগ্রামে তার বিপক্ষে ছিল ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। ভোট গণনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত কিছুমাত্র ভোটের পার্থক্যে জয় হাসিল করে নেয় শুভেন্দু অধিকারী। তবে মমতা গড় ভবানীপুর কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিধানসভায় পদত্যাগপত্র জমা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই আসনের জন্য অনেক যুদ্ধ করলেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েও ছেড়ে দিলেন তিনি। তবে বিধায়কপদ ছেড়ে দিলেও তিনি তার মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন না।
তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতে যেমন বিধায়ক হয়েছিলেন, দায়িত্ব পেয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রীর। তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেও ছেড়ে দিচ্ছেন না মন্ত্রিত্ব। কৃষিমন্ত্রীই থাকবেন তিনি। তার মন্ত্রিত্ব ধরে রাখার জন্য তিনি আগামী ৬ মাসের মধ্যে যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে উপনির্বাচনে জিতে নিতে পারেন। এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আজকের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেছেন, “অনেক ক্ষেত্রে দল নির্দেশ দেয়। কিন্তু আমাকে কোনো নির্দেশ দল দেয়নি। আমি আমার নিজের ইচ্ছামত পদত্যাগ করেছি।” তবে সেই সাথে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, “রাজ্য রাজনীতিতে থাকতে চাই। রাজ্যসভায় যেতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই রাজ্যে উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে নিজেকে আত্মনিয়োজিত করতে চাই।” এই ঘোষণার পর এটি একপ্রকার নিশ্চিত যে তাকে আর রাজ্যসভায় পাঠানো হবে না।
অন্যদিকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা সকলেই দলের পক্ষ থেকে চাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হোক। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছাতেই এই পদত্যাগ করেছেন। তিনি নিজেই দলের সাথে কথা বলে তার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।” এই বিষয়ে সকালেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমার ইচ্ছা এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ফেড লড়াই করে জিত হাসিল করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। তারপর দল আমার জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো মাথা পেতে নেব। তবে বাংলাতেই আমি থাকতে চাই।”