অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। দু’বছরের জটিলতা কাটিয়ে রাজ্যে শেষ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। নবম-দশমের পর রবিবার একাদশ-দ্বাদশ স্তরের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন। সবমিলিয়ে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত মোট ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার প্রার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন।
পরীক্ষার পর কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। প্রশ্ন ও উত্তরপত্র খুব শিগগিরই আপলোড করা হবে।” তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুজোর পর ফল প্রকাশ করা হবে। আর নভেম্বর মাসে ইন্টারভিউ প্যানেল ঘোষণা করবে কমিশন। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রার্থীদের মতামতও নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র আপলোডের পর পাঁচ দিনের সময় দেওয়া হবে, যাতে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মত জানাতে পারেন। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন।
কমিশনের ঘোষণা
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আরও বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির উত্তরপত্র আপলোড করা হবে। আর ২০ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির উত্তরপত্র প্রকাশ হতে পারে। ফলে পরীক্ষার্থীরা খুব দ্রুতই নিজেদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা পেতে পারবেন।
কতজন বসেছেন পরীক্ষায়?
এইবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬৬ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে নবম-দশমের জন্য পরীক্ষায় বসেছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ স্তরে পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ
প্রশ্নপত্র প্রকাশ, মতামত সংগ্রহ এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর নভেম্বর মাসে ইন্টারভিউ তালিকা ঘোষণা করা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টারভিউ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে নিয়োগের ফলাফলও প্রকাশিত হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া যে এগোচ্ছে, তা নিয়েও স্বস্তির হাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
দু’বছরের জটিলতা কাটিয়ে রাজ্যে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন পরীক্ষার্থীদের নজর ফলপ্রকাশ ও ইন্টারভিউর দিকে। শিক্ষামন্ত্রী ও কমিশনের আশ্বাস অনুযায়ী, অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলি সম্পন্ন হবে। শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রতীক্ষায় থাকা লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর কাছে এই ঘোষণাগুলি নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তি নিয়ে এল।














