কিছুদিন আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন রাজ্য সরকার প্রয়োজনে পুরো খরচা বহন করে প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে করোনার টিকা দেবে। তারপর আজ অর্থাৎ শনিবার গোটা রাজ্য জুড়ে করোনা ভ্যাকসিন টিকাকরণ চালু হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কেন্দ্র থেকে রাজ্যে করোনা টিকা পাঠানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ করা হবে। তবে এরই মধ্যে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়েছেন কেন্দ্র থেকে পাঠানো টিকার পরিমাণ রাজ্যের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
আজ টিকাকরন প্রক্রিয়া নিয়ে জেলাশাসকের জেলাশাসকের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছিলে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আলোচনার মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনে বন্দোবস্ত ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, গোটা রাজ্যের জন্য কেন্দ্র মাত্র ১.৫ কোটি করণা ভ্যাকসিন ডোজ পাঠিয়েছে। ডবল ডোজের ভ্যাকসিন হলে মোট ৩ কোটি টিকার দরকার ছিল। তাছাড়া রাজ্যে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। তাই রাজ্যবাসীকে কোভিড টিকা দিতে ব্যবস্থা করবে খোদ রাজ্য সরকারই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নবান্ন থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছেন, “দ্রুত সকল রাজ্যবাসীর কাছে যাতে করোনার টিকা পৌঁছে যায় সেটাই চায় রাজ্য সরকার। তাই কেন্দ্র দ্রুত টিকা পাঠায় তিনি সেটাই চান। অন্যথা রাজ্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করে নিজে থেকেই ভ্যাকসিন কিনে নেবে।” সেই সাথে তিনি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যাতে না কোনো গুজব ছড়ায় তা নিয়ে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ গোটা রাজ্যে মোট ২০৭ টি এলাকায় ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিদ টিকা দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে মোট চার দিন অর্থাৎ সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া খুব দ্রুত গোটা রাজ্যবাসীর জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হবে।